অনলাইনে ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন শুরু হল। কীভাবে করবেন ভেরিফিকেশন? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমানে ভোটের আগে অনলাইনে ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন নিয়মে প্রত্যেক ভোটারকেই নির্দিষ্ট তথ্য ও নথি যাচাই করতে হবে। এই ভেরিফিকেশন না করলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন কীভাবে এটি করবেন এবং কী নথি লাগবে।

ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন নতুন নিয়মে কী বলা হয়েছে?

যারা ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০০৪ এর মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেছেন, তাদের নিজের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, মা বা বাবার জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে, অনেকের কাছেই মা বাবার জন্ম সংক্রান্ত নথি নেই, ফলে সমস্যায় পড়ছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক বা দরিদ্র পরিবার গুলি।

রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া

নতুন ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন নিয়মকে ঘিরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে, বলা হয়েছে, অতিরিক্ত কাগজপত্র চেয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, অভিযোগ এই নিয়মে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি তাই অনেকেই মনে করছেন যে এই কাজ সকলকেই করতে হবে!

প্রধানত ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন এই বয়সের মধ্যে পড়া নাগরিকদের জন্য যারা ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০০৪, যারা সদ্য ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন বা সংশোধনের আবেদন করেছেন। ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা আনা, ভুয়ো ভোটারদের বাদ দেওয়া।

আরও পড়ুন:- বাড়ি বাড়ি ফ্রিতে বিদ্যুৎ দিচ্ছে SBI. কারা এই সুবিধা পাবেন ? জেনে নিন

কীভাবে করবেন ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন?

  • প্রথমে নিজের ভোটার আইডি যাচাই করুন।
  • নিজের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট।
  • মা ও বাবার জন্ম সংক্রান্ত নথি।
  • নিকটবর্তী বুথ অফিসার বা সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিন।
  • ভেরিফিকেশন সফল হলে ভোটার আইডি কার্যকর থাকবে।

ভেরিফিকেশনের উপকারিতা

  1. ভোটার তালিকায় নাম সুনিশ্চিত থাকবে।
  2. ভোটাধিকার বজায় থাকবে।
  3. ভুল বা পুরনো তথ্য সংশোধনের সুযোগ মিলবে।

না করলে কী সমস্যা হতে পারে?

ভোটার আইডি বাতিল হতে পারে, ভোটাধিকার হারানোর সম্ভাবনা, গ্রামের সাধারণ মানুষের ভোটার তালিকায় নাম তোলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে, আগে থেকে নথি প্রস্তুত করে রাখুন। নিজের ও পিতা মাতার নথি আলাদা করে স্ক্যান কপি করে রাখুন, প্রয়োজনে স্থানীয় প্রতিনিধি বা নির্বাচন অফিসারদের সহায়তা নিন, সময়ের মধ্যে আবেদন সম্পূর্ণ করুন।

আরও পড়ুন:- বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ভেজাল রসুন, কীভাবে চিনবেন কোনটা খাঁটি? এক ক্লিকে জেনে নিন

 

 

 

 

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন