Bangla News Dunia, Pallab : অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে চিনের সাহায্যের কথা ভারত প্রকাশ্যে আনতেই বেজায় ক্ষুব্ধ পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। তিনি সোমবার সরাসরি ভারতের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছেন। মুনিরের কথায়, ‘এই ধরনের দাবি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও তথ্যগতভাবে ভুল।’
আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন
মুনিরের দাবি, ‘কয়েগ দশক ধরে কৌশলগত বিচক্ষণতার মাধ্যমে পাকিস্তান যে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করেছে তাকে স্বীকৃতিদানের অনীহা থেকেই অপারেশন ‘বুনিয়ানাম মারসুস’ সম্পর্কে এহেন ইঙ্গিত করা হয়েছে। এমনকি ভারতকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি যেকোনও চ্যালেঞ্জ আগামী দিনে দ্রুত এবং দৃঢ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।’ এদিন ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট হওয়া শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মুনির। সেখানে তিনি জানান, ‘আমাদের জনসংখ্যা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি, অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং বন্দরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার যে কোনও প্রচেষ্টাকে তৎক্ষনাৎই জোরালো প্রতিরোধ করা হবে। ’ মুনিরের দাবি, ভারতের কৌশলগত আচরণ ‘সংকীর্ণ স্বার্থপরতা’। অন্যদিকে পাকিস্তান পাকিস্তান নীতিগত কূটনীতির উপর ভিত্তি করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তির উপর ভিত্তি করে, এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করেছে।’ এমনকি ‘বিশুদ্ধ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সংঘর্ষে অংশগ্রহণকারী হিসাবে অন্যান্য রাষ্ট্রের নামকরণও রাজনীতি খেলার একটি নিকৃষ্ট প্রচেষ্টা’ বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং অপারেশন সিঁদুরকে কেন্দ্র করে ভারত পাক সংঘাতের নেপথ্যে চিনের ভূমিকাকে প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, চার দিনের সংঘাতের শুরু থেকেই বেজিং পর্দার আড়ালে সক্রিয় ছিল। এমনকি রাহুল আর সিং বলেন, ‘আপনি যদি গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে পাকিস্তান যে সামরিক সরঞ্জাম পায় তার ৮১% চিন থেকে আসে। এই সংঘর্ষে, চিন তার অস্ত্র পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল, তাই এটি তাদের কাছে উপলব্ধি। এই সংঘাতকে তারা একটি পরীক্ষাগারের মতো ব্যবহার করেছে। ডেপুটি সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘যে ভারত কেবল পাকিস্তান এবং চীনের সঙ্গেই লড়াই করেনি, বরং তুরস্কের সঙ্গেও লড়াই করেছে।’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিং তার ভাষণে বলেন, ‘পাকিস্তান সামনের সারিতে ছিল। চিন সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছিল… তুরস্কও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।’ দিল্লিতে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স