Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Tension) যুদ্ধ আবহ। এই পরিস্থিতির মধ্যেও অসামরিক বিমানগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করেনি পাকিস্তান (Pakistan)। ভারতীয় হামলা প্রতিহত করতে নিজেদের নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে অসামরিক বিমানগুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটা জানাল বিদেশমন্ত্রক।
আরও পড়ুন:- যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কালোবাজারি বরদাস্ত করবো না, কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ? জানুন
এমনকি আন্তর্জাতিক বিমানও চলাচল করছে বলে জানানো হয়েছে। আকাশপথে প্রত্যাঘাত করতে গেলে নিরীহ যাত্রীদের প্রাণনাশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের লাগাতার উসকানির মাঝেও গতকাল রাতে সংযমের পরিচয় দিয়েছে ভারতীয় সেনা, সেকথাও এদিন স্পষ্ট করেছে বিদেশমন্ত্রক।
আরও পড়ুন:- এই তেল দিয়ে মালিশ করুন শিশুকে ! হাড় মজবুত ছাড়াও স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে
এদিন বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি (Vikram Misri) জানান, পাকিস্তান বারবার দাবি করছে তারা কোনও ধর্মীয়স্থানে হামলা করেনি। সেই দাবি সত্য নয়। পুঞ্চের এক গুরুদ্বারে হামলার চেষ্টার কথা আগেই জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান বিশ্বকে ভুল ব্যাখ্যা করছে।’ পাকিস্তানের বিভিন্ন দাবি ভুয়ো বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, পাকিস্তান ভারতের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। পুরো পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িকতার রং দেওয়ার চেষ্টা করছে পকিস্তান। তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কর্তারপুর সাহেব করিডর দিয়ে বাণিজ্য আপাতত বন্ধ থাকছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাংধর, উরি, পুঞ্চ, মেনধর, রাজৌরি, আখনুর এবং উধমপুরে সশস্ত্র ড্রোন এবং ভারী কামান নিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন সদস্য শহিদ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনারও বড় ক্ষতি হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Sofia Qureshi) এবং উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং (Vyomika Singh)। সোফিয়া কুরেশি বলেন, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে সেনাছাউনিকে নিশানা করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা চেষ্টা করেছে তারা। বেশ কয়েকটি ড্রোনকে নামিয়েছে ভারত। গোপনে নানা তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা বলে জানান কুরেশি। যে ড্রোনগুলি নামানো হয়েছে, সেই ড্রোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ড্রোনগুলি তুরস্কের। শুধু ড্রোন নয়, পাকিস্তান যুদ্ধবিমানও ভাটিন্ডার সেনাছাউনিতে হামলা করার চেষ্টা করে। তবে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিংও অভিযোগ তোলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান বারবার ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেছে। পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সেনাঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল।