এন্টিবায়োটিকের বিকল্প সেরা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia, Pallab : কিছু হোমিও ঔষধ আছে যাদেরকে লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারলে দেখা যাবে,এরা বাজারের যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকের চাইতেও ভালো এবং দ্রুত কাজ করছে। আরো অনেক হোমিও ঔষধ আছে, যাদেরকে লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করলে এন্টিবায়োটিকের মতো ফল পাবেন। সাধারণত মারাত্মক কোন জীবাণুর আক্রমণ নিয়ন্ত্র্রণ এবং নিমূর্ল করতে যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকেরও দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায় ; কিন্তু যদি ঠিক-ঠাক মতো লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধগুলো উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে দেখবেন দু’য়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে-কোন মারাত্মক ইনফেকশানও কন্ট্রোলে এসে যায়।
আরেকটি কথা হলো এন্টিবায়োটিক গুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া নিধন করতে পারে কিন্তু ভাইরাস দমন করতে পারে না; কিন্তু হোমিও ঔষধ গুলো যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেগুলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস সবই মুহূর্তের মধ্যে বিনাশ করে দিবে। এ‍্যালোপ্যাথিতে যদিও অল্পকিছু এন্টিভাইরাল ঔষধও আছে, কিন্তু দাম এতো বেশী যে তাতে রোগীদের ভিটেমাটি বিক্রি করা লাগতে পারে।

আরও পড়ুন : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন কি এলোপ্যাথি মেডিসিন চলবে ?

#একোনাইট নেপিলাস:
যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি সেটি হঠাৎ শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। রোগের উৎপাত এত বেশী হয় যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। এক ফোটা বা ৫টি বড়ি করে রোজ তিনবেলা বা আরো ঘন ঘন খেতে পারেন যতদিন প্রয়োজন মনে করেন।সাধারণত ৩০ বা ২০০ শক্তি হইল স্ট্যান্ডার্ড পাওয়ার।

#ব্রাইয়োনিয়া এলবম:
যদি রোগীর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে,নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, পায়খানা শক্ত হয়ে যায়ইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে হোক না তা টাইফয়েড-নিউমোনিয়া-এপেন্ডিসাইটিস বা আরো মারাত্মক কোন ইনফেকশান, ব্রায়োনিয়া হবে তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। উচ্চ শক্তিতে (১০০০, ১০০০০, ৫০০০০) এক ডোজ ব্রায়োনিয়া খাইয়ে দিন, সম্ভবত দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানোর আর প্রয়োজন হবে না।

#রাসটক্স:
রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করতেছে। বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া বা ভিজা বাতাসের সময়কার যে-কোন জ্বরে (বা অন্যান্য রোগে) রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে না। বরং এজন্য কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কেননা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রাস টক্সের একশান নষ্ট হয়ে যায়।

#বেলেডোনা:
যে-কোন রোগেযদি সারা শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায়, শরীর জ্বালা পোড়া করতে থাকে, তবে বেলেডোনা হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। যে-কোন রোগের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে (অর্থাৎ এলোমেলো কথা বলতে থাকে), তবে বুঝতে হবে যে রোগীর ব্রেনে ইনফেকশান হয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে বেলেডোনা হলো তার সেরা এন্টিবায়োটিক।

#আর্সেনিক এলবম:
যে-কোন রোগে বা ইনফেকশনের সাথে যদি রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী নড়াচড়া ছাড়া থাকতে পারে না), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্পতেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে,অতিমাত্রায় মৃত্যুভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিতইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে আর্সেনিক হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক।

#ব্যাপটেসিয়া টেনাক্স :
যদিও ব্যাপটিশিয়া ঔষধটি হোমিওপ্যাথিতে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় বেশী ব্যবহৃত হয় কিন্তু এই ঔষধটির লক্ষণসমূহ পাওয়া গেলে যে-কোন মারাত্মক ধরনের ইনফেকশনে এটি চমৎকার এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে। ব্যাপটিশিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অবশ অবশ ভাব, এখনই প্যারালাইসিস হয়ে যাবে এমন ভয় হওয়া, চেতনা আধা লোপ পাওয়া (অনেকটা মাতালদের মতো), সারা শরীরে যেন ঘা হয়ে গেছে এমন ব্যথা, মুখ থেকে এবং নিঃশ্বাসে মরা লাশের গন্ধ, ঘুমঘুম ভাব, কথা শেষ করার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মনে হয় তার শরীর টুকরা টুকরা হয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

#ফেরম ফস:
ফেরাম ফস ঔষধটি যে-কোন নতুন ইনফেকশানে ব্যবহার করে দারুণ ফল পাবেন। ইনফেকশনের মূল ঝামেলা হলো স্থানীয় রক্ত সঞ্চয় এবং ফেরাম ফস কনজেশান দূর করতে সেরা ঔষধ। সাধারণত অন্যকোন ঔষধের লক্ষণ পাওয়া না গেলে যে-কোন ইনফেকশনে ফেরাম ফস একটি উৎকৃষ্ঠ এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে।

#হিপার সালফ:
হিপার সালফ চর্ম এবং কোমল কলাতন্তু একটি শ্রেষ্ঠ এন্টিবায়োটিক। সাধারণত ফোড়া , দাঁতের গর্তের ইনফেকশান, ইরিসিপেলাস , কান পাকা ইত্যাদি রোগে ইহার প্রয়োগ বেশী হয়ে থাকে। পাশাপাশি ফুসফুসের রোগেও এটি একটি সেরা এন্টিবায়োটিক।কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, হুপিং কাশি ইত্যাদি রোগেও হিপারের কথা এক নাম্বারে মনে রাখা দরকার। হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্ত স্থানে এতো ব্যথা থাকে যে স্পর্শই করা যায় না এবং ঠান্ডা বাতাসে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন