Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যের কৃষকরা এবার আরও দ্রুত ও সরাসরি পাবেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে জোরদার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেন “কৃষক বন্ধু”, “মৃত্যুকালীন সাহায্য”, “জয় বাংলা পেনশন”, “ফসল বিমা”—এসব প্রকল্পের টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছায়, তাও যেন সরাসরি বাড়িতে গিয়ে।
শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এবার আর চুপচাপ অফিসে বসে থাকার সময় নয়। ব্লক স্তরে নেমে প্রকৃত কৃষক কে, কার আবেদন আটকে আছে, কার টাকা পৌঁছায়নি—সব খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারও যেন ন্যায্য পাওনা আটকে না থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন মন্ত্রী।
অফিস নয়, এবার কর্মীরা যাবেন বাড়িতে
এই পরিকল্পনায়, কৃষি দপ্তরের কর্মীরা এবার সরাসরি কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে টাকা তুলে দেবেন হাতে। পরে ওই পরিবারের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে জেলার দপ্তরে, সেখান থেকে সেটা যাবে নবান্নে। প্রতি কিছুদিন অন্তর জেলার আধিকারিকদের এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে।
বিশেষ নজর “কৃষক বন্ধু”, “বার্ধক্য ভাতা”, বিমায়
“কৃষক বন্ধু” প্রকল্প, যেখানে বছরে কৃষকদের দু’কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়, কিংবা মৃত্যুর পর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা—এই প্রকল্পগুলির আবেদনে বেশি জটিলতা থাকে। তাই এই দিকগুলোতে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। বৃদ্ধ কৃষকদের জন্য বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসছে ফসলের মরশুম, কড়াকড়ি গুণমানেও
খরিফ মরশুম শুরু হতে চলেছে। তাই সার সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সার ভালো মানের হচ্ছে কি না—সেদিকেও কৃষি দপ্তরের নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা: বাংলার কৃষকদের জয়
এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সমাজমাধ্যমে বাংলার কৃষিক্ষেত্রের সাফল্য নিয়ে গর্ব করে জানান, ২০২৪-২৫ সালে রাজ্যে ধান উৎপাদন হয়েছে ২৫৬.৫৩ লক্ষ মেট্রিক টন, যা একটা রেকর্ড।
তিনি লেখেন, “আমরা যে কৃষকদের পাশে ছিলাম—কৃষক বন্ধু, শস্য বিমা, যন্ত্রের সাহায্য, খাজনা মকুব, সুফল বাংলা, আর সরকারি দামে নিশ্চিত ফসল বিক্রি—এই নীতিগুলো যে বাস্তবে কাজে লেগেছে, তার প্রমাণ এই সাফল্য।” মুখ্যমন্ত্রী বাংলার কৃষকদের এই কৃতিত্বের জন্য শুভেচ্ছাও জানান।
আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?