Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শসা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখলেও, ভুলভাবে খেলে হতে পারে উল্টো ক্ষতি। রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে জানুন শসার সঠিক উৎস ও ঝুঁকি।
শসা জলসমৃদ্ধ হলেও, উৎস সন্দেহজনক হলে তা বিপজ্জনক। রাস্তার ধারে কাটাকাটা শসা বহুক্ষণ খোলা থাকে ও ধুলা-ময়লা লাগে।
রাস্তার দোকানে ব্যবহৃত জলের মান প্রশ্নবিদ্ধ। শসা ধোয়ার জন্য অনিরাপদ জল ব্যবহার করলে পেটের সমস্যা, টাইফয়েড হতে পারে।
শসা কাটার পর বেশিক্ষণ খোলা রাখা উচিত নয়। এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা হজমের সমস্যা ও খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।ঘামের মধ্যে ঠান্ডা শসা খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত, যারা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন।
সরাসরি রোদ থেকে এসে ঠান্ডা শসা খাওয়া বিপজ্জনক। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে মাথা ব্যথা বা স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন:- যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কালোবাজারি বরদাস্ত করবো না, কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ? জানুন
ফ্রিজে রাখা পুরনো শসা না জেনে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এটি পচে গিয়ে গন্ধ ও স্বাদে পরিবর্তন আনতে পারে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
রাস্তায় বিক্রি হওয়া লবণ-মশলা দেওয়া শসা কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে সোডিয়াম মাত্রা বাড়ে এবং ত্বকের অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
শসা কেনার সময় সতেজতা ও শক্তত্ব দেখে কিনুন। নরম ও রঙ পাল্টে যাওয়া শসা পচা হতে পারে।
ঘরেই শসা ভালো করে ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে খান। চাইলে হালকা লবণ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন ১–২টা শসা খাওয়া উপকারী, বেশি খেলেও সমস্যা। অতিরিক্ত শসা ডায়রিয়া বা পেটের গোলমালের কারণ হতে পারে।
শসা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখলেও, ভুলভাবে খেলে হতে পারে উল্টো ক্ষতি।