Bangla News Dunia, Pallab : ডোমকলে উলটপুরাণ। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে নিজেদের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার ঘাসফুলের পতাকা নামিয়ে তোলা হল কাস্তে-হাতুড়ি আঁকা লাল পতাকা। ডোমকলের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের হাতে প্রতারিত। এলাকার বহু মানুষ দুর্নীতির শিকার। আমরা দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার করলাম। এটা আগামীদিনে মুর্শিদাবাদের বুকে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পথে? দেখুন কি বললেন দিলীপ ঘোষ
ডোমকল ছিল বামেদের শক্ত খাঁটি। একসময়ের প্রাণীসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী আনিসুর রহমানের রাজনীতির আঁতুড় বলে পরিচিত। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গেই জেলায় একের পর এক পার্টি অফিস খোয়াতে শুরু করে সিপিএম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ ছিল, জোর করে দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক সেরকমই হয়, ডোমকলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও। জেলায় ভোটও কমতে শুরু করে। এই নিয়ে নানা সময় দলের অভ্যন্তরে বৈঠক হলেও সাফল্য অধরাই ছিল।
অবশেষে সময়টা বদলাল। নিজেদের পার্টি অফিস ফিরে পেল সিপিএম। ওই ওয়ার্ডের প্রচুর সংখ্যক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও তাঁদের পরিবার সিপিএমে যোগ দিলেন। তাঁরা দুর্নীতি ও কাটমানির অভিযোগ তুলেছেন ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি আবার ডোমকলের বিধায়ক রাফিকুল ইসলামের দাদা।
তৃণমূল ছেড়ে সদ্য সিপিএমে যোগ দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকাশ মোল্লা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নানা সময়ে আমাদের আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে দলে শামিল করেছিল। এখন ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই পার্টি অফিসে দাঁড়িয়ে আমরা সিপিএমে যোগদান করলাম। এখন থেকে এই কার্যালয় বামেদের।’
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহাঙ্গির। তাঁর কথায়, ‘গোটা রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। মিথ্যা অভিযোগ করছে। ভোটের আগে এইসব চক্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সব বোঝে।’