Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চিনের বন্ধুত্ব যতটা লাভজনক মনে হয়, বাস্তবে ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ”—এমনটাই দাবি করলেন বিশিষ্ট উদ্যোগপতি রাজেশ সাহানির। তাঁর মতে, কৌশলগত বিনিয়োগ, উচ্চ সুদের ঋণ এবং মেগা ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের নামে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশকে আজ চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে ফেলেছে চিন।
বিজনেস টুডে-কে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, “শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপাল সহ ৮টির মধ্যে ৫টি দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এমনকি বাংলাদেশও আজ হুমকির মুখে।” যদিও পরিসংখ্যান সম্পূর্ণরূপে এই বক্তব্য সমর্থন করে না, তবে এই দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়ছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও কট্টরপন্থার উত্থান দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ, সেনাবাহিনী সতর্কবার্তা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, বিনিয়োগ কমেছে এবং ২০২৫ অর্থবছরের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩%–৩.৯%।
শ্রীলঙ্কা:
২০২২ সালে ঋণ খেলাপের পর এখনও চিনের কাছে বিশাল অংকের ঋণ পরিশোধ বাকি। মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্র্য এবং দুর্বল অর্থনীতি ঘিরে দেশজুড়ে অনিশ্চয়তা। উন্নয়নের নামে প্রকল্পগুলো আশানুরূপ লাভ দেয়নি।
মালদ্বীপ:
GDP বৃদ্ধির হার ৬.৪% হলেও দেশের ২০% বৈদেশিক ঋণ চিনের কাছ থেকে নেওয়া। পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এই দেশ যেকোনও বহির্বিশ্বীয় ধাক্কায় ধসে পড়তে পারে। চীনের সঙ্গে FTA বাণিজ্য ঘাটতি বাড়াতে পারে।
পাকিস্তান:
চূড়ান্ত দেউলিয়াত্বের মুখে পাকিস্তান। একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে বেকারত্ব ও দুর্বল অর্থনৈতিক ভিত্তি। CPEC প্রকল্পে অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও ঋণের বোঝা আরও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই।
আফগানিস্তান ও নেপাল:
আফগানিস্তানের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল এবং চিনের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। তবে নেপালে চীনের উপর বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন:- পরমাণু বোমা নিয়ে মিথ্যা তথ্য,পাকিস্তানের ঢোল ফেটে গেল। জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:- এবার ChatGPT-তেই হবে শপিং! কিভাবে ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন