Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সোনারপুর কলেজে ফের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্রনেতার ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৪৪ বছর বয়সী নেতা প্রতীক কুমার দে। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই এক নবাগত ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপানোর ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চেয়ারে হেলান দিয়ে ধূমপান করছেন ওই নেতা। তার তাঁর মাথা ম্যাসাজ করে দিচ্ছেন এক ছাত্রী। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিজেপি শিবির থেকে তা শেয়ার করা হয় সামাজিক মাধ্যমে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বাংলা নিউস দুনিয়া’।
জানা যাচ্ছে প্রতীক কুমার দে বর্তমানে শুধু TMCP-র সোনারপুর কলেজ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর নন, তিনিই রাজপুর টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার TMCP সভাপতিও। জানা গিয়েছে, বারুইপুর কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্র নেতাকে সোনারপুর কলেজে কো-অর্ডিনেটর পদে নিযুক্ত করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র।
আরও পড়ুন:- ৯ জুলাই ভারত বনধ: কোন কোন পরিষেবা বন্ধ থাকবে ও দেশের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে ? জেনে রাখুন
প্রতীকের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছে। রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন যে, এই ব্যক্তি তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেছেন। তবে, অভিযোগ দায়েরের পরেও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন— যখন একজন মহিলা কাউন্সিলরের অভিযোগে পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না, তখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে কে দাঁড়াবে?
বিজেপির দাবি, ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ছাত্রছাত্রীদের অসম্মানজনক পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রমাণ। তারা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এখনও এই ঘটনায় কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোনারপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ ইতিমধ্যেই ক্ষোভে ফুঁসছে। তাঁদের দাবি, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
ভিডিওটির বিষয়ে প্রতীক জানিয়েছেন, ‘ভিডিওটা ফেক। তৈরি করা। ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে চক্রান্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:- Google Search-এ এখন AI Mode চালু, ব্যবহারকারীরা কী সুবিধা পাবেন তা জানুন