রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) বকেয়া মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ঘনিয়ে এলেও রাজ্য সরকার পুরনো তথ্য খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মনে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি সময়মতো বকেয়া টাকা মিলবে? এই প্রতিবেদনে আমরা পুরো বিষয়টি সহজভাবে বিশ্লেষণ করব এবং এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরব।
আরও পড়ুন : বাড়ি বসে মাসে ইনকাম হবে 20,000 টাকা। অনুসরণ করুন পাঁচটি সহজ পদ্ধতি’
মূল সমস্যা: তথ্যের অভাব
বিভিন্ন সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, জানা যাচ্ছে যে ২০১৬ সালের আগের কর্মীদের বেতনের হিসেব নাকি রাজ্যের কাছে নেই। এর মূল কারণ হলো, তখন বেতন সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া অফলাইনে হতো। ২০১৫-১৬ সালে অর্থ দপ্তর যখন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (HRMS) চালু করে, তখন থেকে কর্মীদের বেতনের হিসেব ডিজিটাল পদ্ধতিতে রাখা শুরু হয়।
এর ফলে, ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার বকেয়ার পরিমাণ কত, তা নির্ভুলভাবে হিসেব করা সরকারের পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই সময়ের হিসেব বের করতে গেলে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ কর্মীর সার্ভিস বুক ধরে ধরে কাজ করতে হবে, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। এই বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে বকেয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং সময়সীমা
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে কর্মীদের বকেয়া ডিএ-এর ২৫% ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই সময়সীমা আগামী ২৬-২৭ জুন শেষ হতে চলেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এই নির্দেশ পালনের বিষয়ে তাদের আর্থিক অক্ষমতার কথা জানিয়ে পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে বকেয়া হিসেব করার জন্য ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় চাওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, বকেয়া পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।