Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলার পর ১ সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। ধরা পড়েনি কোনও জঙ্গি। তবে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) সূত্র দাবি করেছে যে, এই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ কাশ্মীরে আত্মগোপন করে রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২২ এপ্রিল
আরও পড়ুন : এই ৩ অভ্যাস মানুষকে ধনী করে, আপনার একটাও আছে?
যে ২২শে এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় ৪ জন সন্ত্রাসবাদী হামলা চালালেও আরও কিছু সন্ত্রাসবাদী আশেপাশেই আত্মগোপন করে ছিল। যদি কোনও ভাবে পালটা হামলা হয় তাহলে যাতে কভার ফায়ার করে জঙ্গিদের পালানোর নিরাপদ প্যাসেজ করে দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। সূত্রের আরও দাবি, এই হামলাকারীরা অত্যন্ত স্বাবলম্বী। খাদ্য সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাদের সঙ্গেই তারা বহন করে আসছে। যার ফলে তারা বাইরের গ্রামগুলোতে খাবার সংগ্রহের জন্যও আসছে না। যাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকেই কাজ করে চলেছে এই জঙ্গিদল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া বয়ান বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী সংস্থা বুঝতে পেরেছে অত্যন্ত নির্ভুল ভাবে হামলার ছক রূপায়ন করেছিল জঙ্গিরা।
সূত্রমতে, চারজন সন্ত্রাসবাদী এই হামলা চালায়। দু’জন প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে, একজন প্রস্থানের দরজায় মোতায়েন ছিল এবং চতুর্থজন আশেপাশের পাইন বনে লুকিয়ে ছিল। তিনজন সন্ত্রাসবাদী পিকনিক করতে আসা, ঘোড়ায় চড়া বা খাবারের দোকানে থাকা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এদের মধ্যে দুই জন সামরিক পোশাক পরে ছিল, আর তৃতীয়জন ঐতিহ্যবাহী কাশ্মীরি ফেরান পরে ছিল। প্রথম গুলিটি প্রস্থানের দরজার কাছে শোনা যায়, যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পর্যটকরা প্রবেশপথের দিকে ছুটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ইতিমধ্যেই অবস্থানরত দুই ব্যক্তি তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে, জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদীরা নারীদের পুরুষদের থেকে এবং হিন্দুদের মুসলিমদের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছিল। তারা উপস্থিত সকলকে কলমা পাঠ করতে বলে। যারা পারেনি তাদের লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে চা এবং ভেলপুরি স্টলের কাছে, যেখানে অনেক পর্যটক জড়ো হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর, সন্ত্রাসীরা পার্কের বাঁ পাশের একটি দেয়াল টপকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ও চাইনিজ অ্যাপের ব্যবহার করে জঙ্গিরা। যার বার্তা এনক্রিপ্টেড থাকার কারণে ধরা সম্ভব হয়নি। এই প্রযুক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য রিয়েল-টাইম ইন্টারসেপশন এবং ট্র্যাকিংকে আরও কঠিন করে তোলে।
আরও পড়ুন : হার্ট অ্যাটাকের আগে ৭টি সংকেত দেয় আমাদের শরীর, বুঝতে পারলে জীবন বাঁচবে
আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়