Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরিতে পুরীর মন্দিরের বাড়তি নিমকাঠ ব্যবহার করা হয়েছে? অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। বলেন, ‘আমার এত খারাপ দিন পড়েনি যে নিমকাঠ চুরি করব’। এবার সেই বিতর্কে ইতি টানলেন খোদ ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। সোমবার, তিনি জানিয়েছেন, দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণের সময়ে পুরীর নিমকাঠ ব্যবহার করা হয়নি।
নবকলেবরের সময় পুরী জগন্নাথ মন্দিরে দেবতা তৈরিতে ব্যবহৃত অতিরিক্ত দারু ব্রহ্ম (পবিত্র নিমকাঠ) দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বলেও একাংশ দাবি করেছিল। এ নিয়ে তদন্ত করার কথাও বলেছিল ওড়িশার সরকার। কিন্তু পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আইনমন্ত্রী জানান, পুরীর মন্দিরের জগন্নাথের মূর্তির জন্য বিশেষ নিমকাঠ অন্য কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহ তৈরিতে অতিরিক্ত দারু বা পবিত্র নিমকাঠ ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মহারাণা সেবকরা (ছুতোর) আলোচনার সময় জানিয়েছেন যে উদ্বৃত্ত পবিত্র দারু ব্রহ্ম থেকে আড়াই ফুট লম্বা মূর্তি খোদাই করা অসম্ভব।’
উল্লেখ্য, পুরীর মন্দিরের সেবায়ত রাজেশ দ্বৈতাপতি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে উপস্থিত ছিলেন। তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরে নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্টাংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘায় জগন্নাথের বিগ্রহ। তাঁর এই দাবি ঘিরে হইচই সৃষ্টি হয়। পরে যদিও নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ওড়িশা সরকারকে জানান, পুরীর দারু ব্রহ্ম দিঘায় বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়নি। সেটি অন্য জায়গা থেকে আনা হয়েছে। তাঁর সেই মন্তব্যের কথাই স্মরণ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতেও চারটে নিম গাছ রয়েছে। এত খারাপ দিন আসেনি যে নিমকাঠ চুরি করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরীতে সবচেয়ে বেশি বাঙালি পর্যটক যায়। ওড়িশায় ঝড়-তুফান হলে বাংলা সবরকম ভাবে পাশে থাকে। তাহলে এখানে জগন্নাথ মন্দির হওয়ায় এত সমস্যা কেন? এত গায়ে লাগছে কেন?’
আরও পড়ুন:- সন্তানদের আমেরিকা বর্ডারে ছেড়ে চলে যাচ্ছে ভারতীয় বাবা-মা, কারণ জেনে নিন