পাকিস্তানের ৩ প্রধান বিমানঘাঁটিতে হামলা ভারতের, জানুন এগুলি কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পাকিস্তান আবারও উস্কানিমূলক পদক্ষেপে ভারতের অনেক শহরের আবাসিক এলাকাকে টার্গেট করার চেষ্টা করে। তবে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। জবাবে, ভারত কঠোর অবস্থান নেয় এবং পাল্টা উপযুক্ত জবাব দেয়। ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের তিনটি প্রধান বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে ভারত ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। পাকিস্তানের ৪টি বিমানঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। এরপর পাকিস্তান তাদের বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেয় এবং NOTAM জারি করে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

মুরিদ চাকওয়াল, সোরকোট এবং নূর খান বিমানঘাঁটি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছেন যে ভারত তার যুদ্ধবিমান থেকে এই বিমানঘাঁটিগুলিতে এয়ার টু ল্যান্ড মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।

এই তিনটি প্রধান বিমানঘাঁটিতে হামলা ভারতের

মুরিদ চকওয়াল বিমানঘাঁটি, পাঞ্জাব

মুরিদ চকওয়াল বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত একটি প্রধান সামরিক বিমানবন্দর। এটি ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিমানঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি কৌশলগত কেন্দ্র, যা বিমান প্রতিরক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে অনেক আধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এর কৌশলগত অবস্থান আঞ্চলিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। ঘাঁটিতে রানওয়ে, হ্যাঙ্গার, কন্ট্রোল টাওয়ার এবং অন্যান্য আধুনিক সামরিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া, এই বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের মনুষ্যবিহীন বিমান অভিযানের (UAV/UCAV) একটি প্রধান কেন্দ্র যেখানে শাহপার-১ এবং বায়রাক্তার TB2 এর মতো উন্নত ড্রোন মোতায়েন করা হয়। মুরিদ বিমানঘাঁটি থেকে ভারতের উপর অনেক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, এই বিষয়ে ভারতের পদক্ষেপকে পাকিস্তানি আগ্রাসনের সরাসরি প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- পাকিস্তানের এই দুঃসময়ে হাত ছাড়ল ‘পরম বন্ধু’, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

নূর খান বিমান ঘাঁটি, রাওয়ালপিন্ডি

নূর খান বিমান ঘাঁটি, যা পূর্বে চাকলালা বিমান ঘাঁটি নামে পরিচিত ছিল, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি প্রধান এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এই বিমানঘাঁটি রাওয়ালপিন্ডির চাকলা এলাকায় অবস্থিত এবং ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত। এই বিমানঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল নূর খানের নামে। এই বিমানঘাঁটি মূলত ভিআইপি চলাচল এবং সরবরাহ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাকিস্তানের উচ্চ-স্তরের সামরিক বিমান এবং বিশেষ মিশন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার কারণে এই বিমানঘাঁটিকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘লাইফলাইন’ বলা হয়।

রফিকি বিমানঘাঁটি, শোরকোট (পাঞ্জাব)

পাকিস্তানের ঝাং জেলার শোরকোটের কাছে অবস্থিত রফিকি বিমানঘাঁটিও ভারতের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। এই বিমানঘাঁটি আক্রমণাত্মক বিমান অভিযানে ভূমিকা রাখার জন্য পরিচিত। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে শহিদ স্কোয়াড্রন লিডার সরফরাজ আহমেদ রফিকির সম্মানে এর নামকরণ করা হয়েছে। জেএফ-১৭ থান্ডার এবং মিরাজের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এখানে মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিমানঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সেন্ট্রাল এয়ার কমান্ডের অধীনে আসে এবং পশ্চিম ও পূর্ব সীমান্তে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর দীর্ঘ রানওয়ে এবং উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা এটিকে পাকিস্তানের বিমান নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ করে তোলে।

রহিম ইয়ার খান এয়ারবেস, পাঞ্জাব

গত রাতে ভারত রহিম খান এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। হামলার পর এখানে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে। রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটি, যা আনুষ্ঠানিকভাবে পিএএফ বেস রহিম ইয়ার খান নামে পরিচিত, পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি সামরিক বিমানঘাঁটি। এই ঘাঁটিটি রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে অবস্থিত এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমানঘাঁটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এর কৌশলগত গুরুত্ব এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, যা এটিকে দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং অভিযানের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। ২০২৫ সালের ১০ মে, রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একটি বৃহৎ গর্ত দেখা যায়, যা সম্ভাব্য সামরিক আক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়ুন:- দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিপজ্জনক কমান্ডো কারা ? জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন