Bangla News Dunia, দীনেশ :- আপাতদৃষ্টিতে দেখলে সুখী পরিবার বলেই মনে হত। দুই মেয়ে, স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে জামাইয়ের ডাকের অপেক্ষায় ছিলেন শাশুড়ি। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর জামাইয়ের ঘরের সামনে যেতেই আঁতকে ওঠেন বৃদ্ধা! গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নাতনি, মেয়ে ও জামাই পড়ে রয়েছে ঘরের মধ্যে। এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান বৃদ্ধা। খবর দেন পুলিশে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:- কেন্দ্রীয় সরকারে প্রায় ১৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, এখনই আবেদন করুন
কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর ভদ্রকালী (Hooghly) এলাকায় থাকেন। কাজ করেন স্থানীয় এক কারখানায়। তার দুই মেয়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ফল কাটার ছুরি দিয়ে নিজের চার বছরের মেয়ে অদ্রিজা ও স্ত্রী পায়েলকে খুন করেন কাশীনাথ। তারপর নিজে আত্মঘাতী (A man attempts suicide) হওয়ার চেষ্টা করেন। কাশীনাথের বড় মেয়ে তার দিদার সঙ্গে গতকাল ঘুমিয়ে ছিল। সেই কারণে সে বেঁচে গিয়েছে বলে অনুমান পুলিশ (Police)। অদ্রিজা ও পায়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে,কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:- গাছপাকা নাকি কার্বাইড- ফরমালিন মেশানো? খাঁটি আম চেনার এই টিপস জানা থাকলে আর ঠকবেন না
ঘটনা প্রসঙ্গে পায়েলের মা জানিয়েছেন, ‘আমার বড় নাতনি আমার কাছে ঘুমোয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জামাই আমায় ডাকে। এদিন সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও ডাকেনি। তখন আমি ওদের ঘরে গিয়ে দেখি, তিনজন পড়ে রয়েছে। দরজাটা শুধু বন্ধ ছিল। ঠেলতেই খুলে যায়।’
আরও পড়ুন:- আম আর দুধ একসঙ্গে খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর? রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ