ফিক্সড ডিপোজিট নাকি প্রভিডেন্ট ফান্ড? কোথায় বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা সুদ পাবেন, জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) ও প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) এই দুই স্কিম হল দেশের নাগরিকদের কাছে সেরা সঞ্চয় প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। প্রত্যেকটি ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য এমন একটি জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান, যেখান থেকে বিনিয়োগের উপর আর্থিক নিরাপত্তা থাকে এবং বিনিয়োগ থেকে রিটার্ন ভালো আসে। অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না, এফডি (FD) না পিপিএফে (PPF) বিনিয়োগ আদর্শ হবে।

ফিক্সড ডিপোজিট না প্রভিডেন্ট ফান্ড কোনটি সেরা?

এফডিতে এক সঙ্গে সম্পূর্ণ টাকাটাই বিনিয়োগ করতে হয়। সম্পূর্ণ টাকার উপর বিবেচনা করে সুদের হার নির্ণয় করা হয়। এফডিতে বিনিয়োগের মেয়াদের সময় কয়েক দিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। অন্য দিকে পিপিএফ হলো একটি সরকার নিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি অবসরের পরবর্তী সময়ের জন্যই মূলত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের লক ইন পিরিয়ড রয়েছে ১৫ বছর। যদিও মেয়াদ রয়েছে পনেরো বছর তবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পাঁচ বছর করে আপনি দুবার মেয়াদ সময় বর্ধিত করতে পারবেন।

FD vs PPF Which Investment Scheme Provide Interest Rate

এফডি তে আপনাকে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। পিপিএফে ১২ কিস্তিতে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সুদের হার নেই। ব্যাংক অনুযায়ী এফডি ক্ষেত্রে সুদের আর ভিন্ন রকম হয়। সাধারণত ৩.৫০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ পাওয়া যায়। অন্য দিকে পিপিএফে প্রতি তিন মাস অন্তর সুদের হার ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার।

পিপিএফ নাকি এফডি কোন বিনিয়োগ বেশি লাভজনক ও নিরাপদ?

আরও পড়ুন:- আধার কার্ড হারিয়ে গেলে কি করতে হবে? নতুন আধার কার্ড কিভাবে পাবেন? জেনে নিন

আপনি যে মেয়াদ অনুযায়ী ব্যাংকে বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডিতে বিনিয়োগ করবেন, সেই মেয়াদের আগে যদি এফডি ভেঙে ফেলেন, তাহলে আপনাকে কিছু টাকা জরিমানা দিতে হবে। পিপিএফে বিনিয়োগের করলে মেয়াদের পাচ বছর পর সম্পূর্ণ টাকা থেকে কিছুটা তুলে নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। ১৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সম্পূর্ণ বিনিয়োগের টাকা তোলার অনুমতি মেলে। প্রত্যাহারের সুবিধা মেলে।

আয়কর আইন ১৯৬১ এর ধারা ৮০ সির আওতায় এফডি এবং পিপিএফ, উভয় বিনিয়োগ থেকেই কর সুবিধা পাওয়া যায়। এফডির সুদের উপর প্রযোজ্য কর গ্রাহকের আয়কর ব্র্যাকেটের উপর নির্ভর করে। আয়কর আইনের ৮০ টিটিবির আওতায় প্রবীণ নাগরিকরা এফডি-তে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড় পান। পিপিএফে প্রাপ্ত সুদ এবং রিটার্ন সম্পূর্ণ কর মুক্ত।

এফডিতে বিনিয়োগ করলে অনেকটাই আর্থিক নিরাপত্তা পাওয়া যায়। কারণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এফডি একটি নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। এফবিতে বিনিয়োগ করলে গ্রাহকদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট ইন্সুরেন্স এর সুবিধা রয়েছে। পিপিএফ যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত একটি প্রকল্প, এই জন্য পিপিএফে বিনিয়োগ করাও সম্পূর্ণ নিরাপদ।

পিপিএফ এবং এফডি-র মধ্যে কোনটা লাভজনক

পিপিএফ এবং এফডি দুটি সমান ভাবে নিরাপদ এবং লাভজনক। যে সমস্ত গ্রাহক ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক এবং বিশেষ করে কর বাঁচাতে চান তাদের জন্য পিপিএফ একটি অন্যতম মাধ্যম। ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে কত দিনের মেয়াদে বিনিয়োগ করবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে গ্রাহকের নিজের ইচ্ছের উপর। ট্যাক্স সেভিংসের ক্ষেত্রে এফডির লক ইন পিরিয়ডও কম।

আরও পড়ুন:- ই শ্রম কার্ডে প্রতিমাসে পাবেন ৩০০০ টাকা, কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেন জানুন

আরও পড়ুন:- সুখবর! ডায়েবেটিস রোগীরা ৯০% কম দামে ওষুধ পাবেন এবার, বিস্তারিত জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন