Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে শহর কলকাতা ৷ তার জন্য মিলল কেন্দ্রের আর্থিক ইনসেনটিভ বা পুরস্কার ৷ যার পরিমাণ 14 কোটি 78 লাখ টাকা ৷ কলকাতার মুকুটে এই নয়া পালকের কথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন । এর জন্য শহরবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
বেশ কয়েকবছর আগেও বায়ুদূষণে জর্জরিত শহরের তালিকায় উপরের দিকেই নাম থাকত কলকাতার । তবে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের (এনক্যাপ) আওতায় মহানগরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম । যার ফলে বাতাসে দূষণ কণা পিএম 10 মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে । স্বাভাবিকভাবেই বায়ুদূষণও কমেছে । ফলে কেন্দ্রের তরফে মিলেছে স্বীকৃতি ও আর্থিক ইনসেনটিভ ।
মূলত দেশের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি । সেখানেই শুরু হয়েছিল গ্রেডেট রেসপন্ড অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ মডেল । সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে কলকাতা পুরনিগম । পাশাপাশি আরও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে । লাগাতার নিয়ন্ত্রণের জেরে শহরের বাতাসের দূষিত ধূলিকণা পিএম 10 মাত্র উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কমেছে পিএম 2.5 এর মাত্রাও । এর জেরে সার্বিকভাবে বাতাসে গুণমান উন্নত হয়েছে । দেশের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কলকাতা গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ।
আরও পড়ুন:- বিরাট সুযোগ! Tech Mahindra-তে ইন্টার্নশিপ নিয়ে চাকরি, আবেদন করলেই পাবেন ৫৪ হাজার টাকা
এই বিষয়ে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, “কলকাতা আবারও পথ দেখালো ! ভারত সরকার কলকাতা-সহ তিনটি শহরকে পুরস্কৃত করেছে ৷ বাতাসে দূষণ কণা পিএম 10 মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস এবং সামগ্রিকভাবে বাতাসের মান উন্নয়নের জন্য কলকাতাকে এই পুরস্থার দেওয়া হয়েছে । তাদের সমর্থনের জন্য কলকাতার জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ । আসুন আমরা সকল নাগরিক এবং সংস্থা উভয় মিলে একটি পরিষ্কার ও সবুজ শহর তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই ৷”
মেয়র ফিরহাদ হাকিম
কলকাতার জনসাধারণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । তাই কেন্দ্রের তরফে ইনসেনটিভ পেয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী এটা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন । আমরা 14 কোটি 78 লাখ টাকা পাচ্ছি । তাদের সহযোগিতার জন্য নাগরিকদের অনেক ধন্যবাদ ।”
উল্লেখ্য, শহরজুড়ে নানা ধরনের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ করে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহ দান, ডিজেল পেট্রোলের পরিবর্তে সিএনজি বা ব্যাটারিচালিত গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিকাঠামো তৈরি করাতে প্রাধান্য দেওয়া, এর সঙ্গেই গ্র্যাপ পদ্ধতি নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়েই এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকদের একাংশের ।
আরও পড়ুন:- দুরন্ত কামব্যাক, মে মাসেই ৪৮% দাম বেড়েছে এই মাল্টিব্যাগার স্টকের।