Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অপারেশন সিঁদুরে ভারতের হাতে পর্যুদস্ত হওয়ার ছ’দিন পর দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ৷ দেশের সেনাঘাঁটিতে বক্তৃতা করার সময় ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের কথা বলেন তিনি ৷
এর আগে গত 10 মে বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ডিরেক্টর জেনারেলরা (ডিজিএমও) সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হন ৷ কয়েক ঘণ্টা বাদে রাতে সশস্ত্র ড্রোন এবং ইউএভি হামলা চালিয়ে সমঝোতা ভাঙে পাকিস্তান ৷ তবে সেদিন রাত 11টার পর থেকে ইসলামাবাদ আর কোনও হামলা চালায়নি ৷ এখনও বজায় রয়েছে সেই স্থিতাবস্থা ৷
এরপর বৃহস্পতিবারও দুই ডিজিএমওর-র মধ্যে বৈঠক হয় বলে খবর ৷ পাকিস্তানের তরফে আগামী 18 মে, রবিবার পর্যন্ত সংঘর্ষ স্থগিত বলে ঘোষণা করেছেন দেশের উপ প্রধানমন্ত্রী ইশাক দর ৷ কিন্তু ভারতের পক্ষে এনিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি ৷ ভারতের তরফে বারবারই বলা হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে কথা হলে সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়েই কথা হবে ৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের ছেড়ে দেওয়া নিয়েই কথা হবে ৷ অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতে ভারত আগ্রহী নয় ৷
গত 12 মে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, “আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কথা হলে, সন্ত্রাসবাদ নিয়েই হবে ৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে ৷ এটাই আমাদের ঘোষিত নীতি ৷” এই আবহে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ পঞ্জাব প্রদেশের কামরা সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে যান ৷ সেখানে সেনা এবং সেনার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ সেনাঘাঁটিতে পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের ইচ্ছে প্রকাশ করে শরিফ বলেন, “আমরা শান্তি চাই ৷ এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ৷” শেহবাজের সঙ্গে ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ, সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির, চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধু-সহ অনেকে ৷
10 মে সংঘর্ষ বিরতি পর গত 13 মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পঞ্জাবের আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে যান ৷ তিনি সেনা জওয়ান ও আধিকারিকদের কথা বলেন ৷ এরপর সেনাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন ৷ এর পরদিন অর্থাৎ 14 মে পাক প্রধানমন্ত্রী সিয়ালকোটে পাসরুর ক্যানটনমেন্ট পরদর্শনে যান ৷
অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে সংঘাতে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা করে পাকিস্তান ৷ সেই হামলার কড়া জবাব দেয় দিল্লি ৷ পাকিস্তানের নূর খান (রাওয়ালপিণ্ডি), রহিম ইয়ারখান (দক্ষিণ পঞ্জাব), সুক্কুর (সিন্ধ), মুশাফ (সারগোদা), জাকোবাবাদ (উত্তর সিন্ধ প্রদেশ), ভোলারির (উত্ত থাট্টা জেলা) মতো গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত ৷