Bangla News Dunia, দীনেশ : ভারতকে আর পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখানো যাবেনা। পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন সন্ত্রাসবাদকে সরকারি মদত দেওয়ার যে প্রবণতা পাকিস্তান সরকারের রয়েছে তা আর চলবে না। এখানেই শেষ।
এবার কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের চেষ্টা হলে ভারত এভাবেই জবাব দেবে। কোনও সন্ত্রাস সহ্য করা হবেনা। পাকিস্তানকেও সন্ত্রাস শেষ করার পথ বেছে নিতে হবে। ভারতের মা বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছে দিলে তাদের কি দশা হবে তা এবার বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদীরা।
আরও পড়ুন : ফ্রি রেশন সামগ্রী পাওয়া বন্ধ হচ্ছে ? জানুন নতুন সিদ্ধান্তে কী বলছে সরকার
অপারেশন সিঁদুর কেবল একটা নাম নয়। একটা বার্তা। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এভাবেই সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্পষ্ট করে দিলেন অপারেশন সিঁদুর এখন থেকে ভারতের নিউ নর্মাল পরিস্থিতি।
পাকিস্তানের মাটিতে যে সন্ত্রাসবাদী নেতারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বছরের পর বছর ধরে তাদের এক ঝটকায় শেষ করেছে ভারত। শতাধিক জঙ্গির জীবন কেড়ে নিয়েছে ভারতীয় সেনা। অন্যদিকে গোটা বিশ্ব দেখেছে ভারতীয় অস্ত্রভান্ডারের ক্ষমতা।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই বালুচিস্তান হাতছাড়া হচ্ছে পাকিস্তানের, কি ‘খেলা’ শুরু করলো BLA ? জেনে নিন
যেখানে তাদের উচিত ছিল সন্ত্রাসবাদী গতিবিধি শেষ করা, তাদের দেশে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে শেষ করা সেখানে পাকিস্তান পাল্টা ভারতকে আক্রমণ করেছিল।
তারা স্কুল, গুরুদ্বার, হাসপাতাল, সাধারণ মানুষের বাড়ি লক্ষ্য করে মারণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। যা ভারত সাফল্যের সঙ্গে রুখে দিয়েছে। আকাশেই শেষ করে দিয়েছে। জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের লাগাতার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে হামলার পর পাকিস্তান যখন দেখে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েও তারা এঁটে উঠছে না তখন তারা পালানোর পথ খুঁজছিল। বিভিন্ন দেশের কাছে ঘুরছিল সাহায্যের জন্য।
আরও পড়ুন : মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিজিট বা সার্র্থটিফিকেট তৈরি করার পদ্ধতি নিন
অবশেষে গত ১০ মে ভারতের ডিজিএমও-র দ্বারস্থ হয় তারা। জানায় তারা আর কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে থাকবেনা, কোনও সেনা হামলার চেষ্টা হবেনা। এরপরই ভারত বিষয়টি ভেবে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও স্পষ্ট করে দেন যে ভারত অপারেশন সিঁদুর আপাতত স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানের কার্যকলাপের দিকে কড়া নজর রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও স্পষ্ট করে পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছেন, রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারেনা। প্রকারান্তরে তিনি এই কথার মধ্যে দিয়েই সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারেনা। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারেনা। পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেখানে ২টি মাত্র বিষয়ে আলোচনায় রাজি হবে ভারত। এক, সন্ত্রাসবাদ এবং দুই, পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এর বাইরে আর কোনও বিষয়ে কথা নয়।