Bangla News Dunia, Pallab : সরকারি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি আর্থিক সহায়তা প্রকল্প যা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু সেই প্রকল্পে এক কিশোর ছেলের নামে চার বছর ধরে টাকা ঢুকছে—এমনই বিস্ময়কর দাবি করলেন মালদহ জেলার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যদুপুর পঞ্চায়েতের নয়াগ্রামের বাসিন্দা আমানুর রহমান। এই অভিযোগের পর গোটা এলাকা তোলপাড়, তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন : ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু ! হেরে ভূত তৃণমূল
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কিভাবে ছেলের নামে ঢুকছে?
আমানুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতোই তিনি নিজের মোবাইল ফোনে স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের স্ট্যাটাস চেক করছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি দেখতে পান, একই মোবাইল নম্বরে তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি আরও একটি নাম যুক্ত আছে—তা হল তাঁর ছেলের। কিন্তু, সরকারিভাবে এই প্রকল্প শুধুমাত্র ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের জন্যই বরাদ্দ।
এখানেই চমক। তাঁর ছেলের নামের বানান সামান্য পরিবর্তিত, আর অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও আলাদা। সন্দেহ জাগে। তখন তিনি পুরো Beneficiary ID কপি করে খোঁজখবর শুরু করেন, এবং আবিষ্কার করেন—২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিনিয়ত সেই নাম ব্যবহার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তোলা হচ্ছে!
চক্রের ফাঁদে আধার ও মোবাইল নম্বর?
ঘটনা থেকে পরিষ্কার, কেউ বা কারা আমানুরের ছেলের আধার নম্বর এবং তাঁর নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার করে এই প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন করে এবং দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকাগুলি উত্তোলন করে আসছে। আমানুরের বক্তব্য, “আমার ছেলেকে জিজ্ঞেস করার পর সে জানায়, কাউকে সে কোনো নথিপত্র দেয়নি। আমি নিশ্চিত, অসাধু একটি চক্র এই জালিয়াতি করেছে।”