শয়ে শয়ে ধর্ষিত মেয়েদের গণকবর মন্দির চত্বরে, সামনে এল হাড়-হিম করা তথ্য

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একের পর এক ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার ধর্মস্থলায়। নাবালিকা, স্কুলছাত্রী, তরুণী, কিশোরীদের অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হত। তারপর দেহগুলি মাটি চাপা বা আগুনে পুড়িয়ে গায়েব করে দেওয়া হত। নিখোঁজ কন্যাদের পরিবারের কেউ কেউ থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি।  তাঁর দাবি, বহু খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ পুঁতে ফেলা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার কাজে তাঁকে জোর করে বাধ্য করা হয়েছিল। আত্মগোপনে থাকা এই ব্যক্তির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

অন্তত ১৬ বছরের গোপন নির্মমতা?
প্রাক্তন ওই কর্মীর দাবি, ধর্মস্থল মন্দির প্রশাসনে কাজ করার সময়, তিনি বহুবার নদী ও আশপাশের এলাকায় নগ্ন বা অর্ধনগ্ন মৃতদেহ খুঁজে পান, যাদের শরীরে ছিল যৌন নির্যাতন ও হিংসার স্পষ্ট চিহ্ন। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে চাইলে, তাঁর দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রতিবাদ করলে তাঁরও ‘অন্তর্ধান’ ঘটবে।

গণকবর, জ্বালিয়ে দেওয়া, সবই তাঁর চোখের সামনে
ওই কর্মীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁকে একাধিকবার নির্দেশ দেওয়া হয় মৃতদেহ পুঁতে ফেলতে বা ডিজেল ঢেলে জ্বালিয়ে দিতে। বহু দেহ এভাবে নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। শেষ পর্যন্ত, নিজের কন্যার প্রতি সম্ভাব্য নিগ্রহের আশঙ্কায় তিনি ২০১৪ সালে পরিবারসহ ধর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন:- রাজ্যের মেয়েদের 25,000 টাকা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানুন কিভাবে আবেদন করতে হবে ?

পরিচয় গোপন রেখে পুলিশের কাছে অভিযোগ, তদন্তে নামল প্রশাসন
চলতি বছরের ৩ জুলাই তিনি ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ সুপার এবং ধর্মস্থল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরদিনই BNS-এর 211(a) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথিত কবরস্থান খননের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

প্রমাণ-সহ অভিযোগকারী, কবর খুঁড়তে প্রস্তুত
অভিযোগকারী বলেছেন, তিনি একটি পুরনো সমাধিস্থল থেকে এক মৃতদেহ উত্তোলন করে তার ছবি, দেহাবশেষ এবং নিজের আধার কার্ড ও পুরনো কর্মী পরিচয়পত্র পুলিশকে জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি সাক্ষী সুরক্ষা আইনের আওতায় নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি, কারণ তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে মন্দির প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

ধর্মস্থলে এর আগেও বিতর্ক, এবার পুলিশের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট
এই ঘটনার আগে ২০১২ সালে ধর্মস্থলে এক ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় মন্দির ট্রাস্টের এক সদস্যের নাম উঠে এসেছিল, যেটি নিয়ে একটি ইউটিউব ভিডিওতে অভিযোগ উঠলে পরে কর্নাটক হাইকোর্ট ভিডিওটি সরানোর নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:- এক বছরে ৭৩৯% বৃদ্ধি, লগ্নি করতে পারেন এই ৭ পেনি স্টকে

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন