Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমান যুগে পরিবর্তনশীল জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্থূলতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট সংক্রান্ত রোগ ইত্যাদি অনেক রোগের মূল কারণ হল স্থূলতা। ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো সহজ হয় না। কিন্তু আপনার জীবনধারা এবং খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে আপনি সহজেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
সকলেই ফিট থাকতে চায়। সুস্থ শরীরের জন্য ওজন সঠিক রাখা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষকে ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হয়। ওজন হঠাৎ অনেক বেড়ে গেলে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। এই ওজন হ্রাস অনেকের জন্য একটি খুব কঠিন যাত্রা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বজায় রাখা। এর মধ্যে সারা দিন কী ধরনের ডায়েট মেনে চলছেন, তা জানা জরুরি।
দিনের শুরুটা স্থূলতা কমানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। ফিটনেস কোচ জোসিয়াহ তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই সম্পর্কে পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি ৫ টি সকালের অভ্যাস সম্পর্কে বলেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সকালে কিছু বিষয় মাথায় রেখে কীভাবে পেটের মেদ দ্রুত কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন:- হাইট অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত? তালিকাটা দেখে নিন…
জল দিয়ে দিন শুরু করুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস জল পান করুন। এটি বিপাককে উন্নত করে, শরীর সারাদিন হাইড্রেটেড রাখে, হজমের উন্নতি করে এবং খিদে কমায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট করুন
প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্টকরুন। ডিম, দই বা প্রোটিন শেক খেতে পারেন। এই সমস্ত খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ব্যায়াম
প্রতিদিন ২০-২০ মিনিটের ওয়ার্কআউট করুন। এর মধ্যে রয়েছে কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণ। এটি বিপাককে গতি দেয়, ক্যালোরি বার্ন করে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলুন
যতটা সম্ভব মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলুন, যার মধ্যে রয়েছে পেস্ট্রি এবং মিষ্টি খাবার। এটি করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খাবারের পরিকল্পনা করুন আগে থেকে
সারাদিন স্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্ন্যাকস খান। এতে পুষ্টিতে ভরপুর সুষম খাবার খেতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি ওজন কমানোর একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে। পেটের মেদ কমাতে জীবনধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, পেটের চর্বি যে কোনও মানুষের জন্যই বিপজ্জনক। অন্য একজন বিশেষজ্ঞের মতে, আপনার প্রচেষ্টা এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানো যেতে পারে। ওয়ার্কআউট করে ওজন অনেকাংশে কমানো যায়। আপনার খাদ্যাভ্যাস যতই ভাল হোক না কেন, আপনি যদি শারীরিক পরিশ্রম না করেন, তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন:- সুখবর ! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে স্টেট ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! শীঘ্রই আবেদন করুন
আরও পড়ুন:- সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে ব্রেকফাস্টে রাখুন এই খাদ্য তালিকা