সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য বড় খবর ! না জানলে পড়বেন বিপদে

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম (WBHS)-এর অধীনে থাকা সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ৩০শে জুন, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, তালিকাভুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় কোনো সুবিধাভোগীর মৃত্যু হলে, হাসপাতালের বকেয়া বিল মেটানো এবং পরিবারের প্রাপ্য টাকা ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে অনেক সহজ ও দ্রুত করে তোলা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায়, মৃতের পরিবারকে এখন আর দীর্ঘসূত্রিতার শিকার হতে হবে না।

আরও পড়ুন : ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু ! হেরে ভূত তৃণমূল

পূর্বের পদ্ধতিতে কী সমস্যা ছিল?

আগে যদি WBHS-এর অধীনে থাকা কোনো কর্মচারী বা পেনশনভোগী তালিকাভুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যেতেন, তখন একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতো।

  • দীর্ঘ প্রক্রিয়া: হাসপাতালের বকেয়া বিল প্রথমে অর্থ দপ্তরের মেডিকেল সেলে যেত। সেখান থেকে বিল যাচাই হওয়ার পর মৃতের প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠানো হতো। এই ফাইল চালাচালিতে অনেকটা সময় নষ্ট হতো।
  • বিল নিয়ে জটিলতা: অনেক সময় হাসপাতাল এবং মৃতের পরিবারের জন্য আলাদা আলাদা বিল সংগ্রহ করতে প্রশাসনিক দপ্তরগুলিকে সমস্যায় পড়তে হতো।
  • তথ্যের অভাব: প্রশাসনিক দপ্তরগুলির কাছে হাসপাতালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো জরুরি তথ্য প্রস্তুত না থাকায় বিল পরিশোধে আরও দেরি হতো।

এই সমস্ত কারণে, শোকগ্রস্ত পরিবারগুলিকে হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য এবং নিজেদের প্রাপ্য টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হতে হতো এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো।

নতুন নিয়মে কী পরিবর্তন আনা হলো?

এই সমস্যাগুলি দূর করতে এবং পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে রাজ্য সরকার নতুন পদ্ধতি চালু করেছে।

১. হাসপাতালের বিল সরাসরি পরিশোধ:

এখন থেকে হাসপাতালের বকেয়া বিল সরাসরি অর্থ দপ্তরের মেডিকেল সেল দ্বারা পরিশোধ করা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল সরাসরি মেডিকেল সেলে পাঠাবে। মেডিকেল সেল সেই বিল যাচাই করে, ক্যাশলেস ব্যবস্থার মাধ্যমে হাসপাতালের টাকা সরাসরি মিটিয়ে দেবে। এর ফলে, বিল পরিশোধের জন্য ফাইল আর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরবে না।

২. পরিবারের প্রাপ্য টাকা পাওয়ার সহজ উপায়:

মৃতের পরিবার বা আইনি উত্তরাধিকারীর যে টাকা প্রাপ্য (রিইম্বার্সমেন্ট), তা মেটানোর দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তর বা পেনশন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের (PSA) উপর। এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য, অর্থ দপ্তরের মেডিকেল সেল একটি নতুন শংসাপত্র চালু করেছে, যার নাম “ডেথ কেস অ্যাডমিসিবিলিটি-কাম-রিইম্বারসমেন্ট সার্টিফিকেট” (DCARC)

  • DCARC-এর ভূমিকা: মেডিকেল সেল হাসপাতালের বিল যাচাই করার পর এই DCARC তৈরি করবে। এই শংসাপত্রটি মৃতের প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠানো হবে এবং এটিই হবে পরিবারের প্রাপ্য টাকা মেটানোর আনুষ্ঠানিক প্রমাণপত্র।
  • পরিবারের জন্য সুবিধা: এই সার্টিফিকেট পাওয়ার পর, প্রশাসনিক দপ্তর খুব সহজেই এবং দ্রুততার সাথে মৃতের আইনি উত্তরাধিকারীকে তার প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করতে পারবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন