Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ডিজিটাল যুগে, প্যান কার্ড কেবল একটি পরিচয়পত্র নয়, বরং আর্থিক লেনদেনে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে। প্যান নম্বর হল ভারত সরকারের আয়কর বিভাগ কর্তৃক জারি করা একটি 10-সংখ্যার আলফানিউমেরিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। এটি নাগরিকদের আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে এবং বৈধ কাঠামোর বাইরে থাকা সমস্ত লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করে।
এখন প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যার ফলে ঋণদাতা কোম্পানিগুলির জন্য আপনার কেওয়াইসি যাচাই করা-সহজ হয়েছে। আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করার কারণে, প্যানের সত্যতা এবং সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই এখন প্যান কার্ডের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া একটি সাধারণ এবং-সহজ বিকল্প হয়ে উঠেছে।
প্যান কার্ড লোন নেওয়ার সময় যে বিষয়টি মনে রাখবেন:
আপনি যদি প্যান কার্ডের মাধ্যমে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ নিতে চান, তাহলে আপনার কেন্দ্রের জারি করা প্যান এবং আধার কার্ড উভয়েরই প্রয়োজন হবে। উভয় কার্ডই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা না হলে ঋণ প্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে। যদি উভয় নথি সংযুক্ত থাকে, তাহলে ঋণ অনুমোদনের 24 ঘণ্টার মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরিত হবে। যদি আপনার প্যান কার্ড না থাকে অথবা এটি আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকে, তাহলে আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ঋণের জন্য যে নথিগুলির প্রয়োজন হবে:
- প্যান কার্ডে 5 লক্ষ টাকার ঋণ পেতে নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজন:
- পরিচয় প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা ভোটার আইডির কপি।
- ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে এই নথিগুলির যেকোনো একটি।
- গত তিন মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
- ফর্ম 16-সহ গত দুই মাসের বেতন স্লিপ অথবা বেতন সার্টিফিকেট।
প্যান কার্ড ঋণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
প্যান কার্ডে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া খুবই-সহজ। এর জন্য আবেদন অনলাইনে করা যাবে, যেখানে শুধুমাত্র মৌলিক বিবরণ পূরণ করতে হবে এবং প্যানের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। এই ধরণের ঋণ তাৎক্ষণিক অনুমোদন পায়, যার ফলে আপনি জরুরি পরিস্থিতিতেও দ্রুত তহবিল পেতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনা করলে প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার থেকেও উপকৃত হতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সংখ্যাও খুব কম – শুধুমাত্র প্যান এবং আধারই যথেষ্ট। এছাড়াও, পরিশোধের জন্য নমনীয় EMI সুবিধা রয়েছে, যার মেয়াদ 6 মাস থেকে 96 মাস পর্যন্ত রাখা হতে পারে।
প্যান কার্ড ঋণের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
প্রথমত, আপনাকে এমন একটি ব্যাঙ্ক বা অর্থিক সংস্থা বেছে নিতে হবে যা প্যান কার্ডে ব্যক্তিগত ঋণ প্রদান করে। এর জন্য প্রতিষ্ঠানের সুদের হার, ঋণের পরিমাণ, পরিশোধের শর্তাবলী এবং বিশ্বাসযোগ্যতা মাথায় রাখতে হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে যান এবং ‘এখনই আবেদন করুন’ এ ক্লিক করুন। মোবাইল নম্বর এবং ওটিপি পূরণ করার পর, আবেদনপত্রে আপনার নাম, প্যান নম্বর, জন্ম তারিখ এবং পিন কোড পূরণ করুন। এখন “প্রোসিড” এ ক্লিক করুন এবং ঋণের পরিমাণ এবং প্রকার (টার্ম, ফ্লেক্সি টার্ম, ফ্লেক্সি হাইব্রিড) বেছে নিন। তারপর ঋণের মেয়াদ বেছে নিন এবং KYC বিবরণ পূরণ করে ফর্মটি জমা দিন।
যোগ্যতার মানদণ্ড:
প্যান কার্ড ঋণের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। তার বয়স 21 থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হবে। প্যান কার্ড এবং ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকা আবশ্যক। ব্যক্তিটি চাকরিজীবী হোক বা স্ব-কর্মসংস্থানকারী হোক – আয়ের একটি স্থায়ী এবং নিয়মিত উৎসও থাকা উচিত। এছাড়াও, ঋণ-আয় (DTI) অনুপাতও কম হওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মাসিক আয় ₹50,000 হয় এবং আপনার মাসিক ঋণ এবং ক্রেডিট পেমেন্ট 28,000 টাকা হয়, তাহলে আপনার DTI হবে (28000/50000)*100 = 56%। সাধারণত 40 শতাংশের কম DTI থাকলে তা ভালো বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন:- বন্ধ থাকবে শিলিগুড়ি-গ্যাংটক জাতীয় সড়ক, কবে থেকে জেনে নিন
আরও পড়ুন:- পুরুষদের জন্য চালু হল নতুন প্রকল্প, আবেদন করলেই মাসে পাবেন 5000 টাকা ।