Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জঙ্গি হামলা নিয়ে আবারও পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বিকানেরে ১০৩টি অমৃত ভারত স্টেশন উদ্বোধনের পর জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন। আবারও জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মোদী। বলেছেন, প্রতিটি জঙ্গি হামলার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে পাকিস্তান ও পাকিস্তানের অর্থনীতিকে। ইসলামাবাদের সঙ্গে বানিজ্য বন্ধ থাকছে বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছেন মোদী।
মোদীর ভাষণ ১০ পয়েন্টে
‘সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে তাঁদের সিঁদুর মুছে দিয়েছে। পহেলগাঁওয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই গুলি ১৪০ কোটি দেশবাসীর হৃদয় বিদ্ধ করেছিল। এর পর আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সংকল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে খোলা হাত দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছ। তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।’
‘২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি। ২২ তারিখ ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে যখন সিঁদুর বারুদ হয়ে যায় তখন ফল কী হয়। ৫ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। বীরভূমির এইটাই তপ। অপারেশন সিঁদুরের পরও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে।’
আরও পড়ুন:- সুখবর! পিএম কিষানের ২০ তম কিস্তির টাকা শীঘ্রই ঢুকবে, স্ট্যাটাস চেক করুন এইভাবে
‘আমি দেশকে মিটতে দেব না। দেশকে ঝুঁকতে দেব না। আমি দেশবাসীকে বলতে চাইছি যে যারা সিঁদুর মুছে দিতে বেরিয়েছিল, ওদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সব হিসেব চুকিয়েছে। যারা ভাবছিল ভারত চুপ করে থাকবে, যারা তাদের অস্ত্র নিয়ে গর্ব করত, তারা আজ ধ্বংসস্তূপের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। আজ তারা ঘরে ঢুকে রয়েছে।’
‘এটা শোধ আর প্রতিশোধের খেলা নয়। এটা ন্যায়ের নতুন স্বরূপ। এটি ন্যায়বিচারের একটি নতুন রূপ। এটি অপারেশন সিঁদুর। এটি কেবল আক্রোশ নয়। এটা ভারতের রুদ্র রূপ। এটা ভারতের নয়া স্বরূপ। প্রথমে ঘরে ঢুকে মেরেছিলাম, এখন একদম বুকে মেরেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটাই রীতি, এটাই নীতি। এটাই নতুন ভারত।’
‘অপারেশন সিঁদুর তিন সূত্রকে ঠিক করে দিয়েছে। প্রথম, জঙ্গি হামলা হলে কড়া জবাব দেবে ভারত। সময়, ঠিকানা আমাদের সেনারা ঠিক করবে। পরমাণু বোমার ব্ল্যাকমেলে ভারত ভয় পাবে না। দ্বিতীয়, আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা সরকারকে একই দেখবে, আলাদা দেখবে না। পাকিস্তানের এই খেলা আর চলবে না।’
‘পুরো দুনিয়ায় পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে আমাদের দেশের সাতটি ভিন্ন প্রতিনিধি দল পুরো বিশ্বে যাচ্ছেন। এতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের মানুষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন পাকিস্তানের আসল চেহারা পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে। এবার পাকিস্তানের আসল চেহারা পুরো বিশ্বকে দেখানো হবে।’
‘পাকিস্তান কোনওদিন ভারতের সঙ্গে সোজা লড়াইয়ে জিততে পারবে না। যখনই সোজা লড়াই হয়েছে তখনই ওদের মুখ লুকোতে হয়েছে। সেই কারণে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে ভারতের রিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার বানিয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাস ছড়াত, নিরপরাধ মানুষদের খুন করত। স্বাধীনতার পর গত কয়েক দশক ধরে এটিই চলছে।’
‘ভারতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করত কিন্তু পাকিস্তান একটা জিনিস ভুলে গেছে। এখন ভারত মাতার দাস মোদী এখানে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মোদীর মাথা ঠান্ডা, ঠান্ডা রাখে। কিন্তু মোদীর রক্ত গরম। এখন মোদীর শরীরে গরম সিঁদুর বইছে। এখন প্রতিটি জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে চড়া মূল্য দিতে হবে। পাকিস্তানের অর্থ ব্যবস্থা সেই মূল্য চোকাবে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের অর্থনীতিকে মূল্য চোকাতে হবে।’
‘আমি যখন দিল্লি থেকে এখানে আসি, তখন আমি বিকানেরের নল বিমানবন্দরে অবতরণ করি। রাজস্থানের এই এয়ার বেসকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ওরা একটাও ক্ষতি করতে পারেনি। সীমান্তে ওপারে পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান এয়ার বেস রয়েছে। জানি না ওটা কবে খুলবে। আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে। ভারতীয় সেনারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রেডও হবে না, টকও হবে না। যদি কথা হয় তবে পিওকে নিয়ে কথা হবে। ভারতের অধিকারের জল পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না। বিকশিত ভারতের জন্য সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি জরুরি। এটাই নতুন ভারত।’
আরও পড়ুন:- উচ্চ রক্তচাপকে বশে আনতে রান্নাঘরের শুধু এই জিনিসটি যথেষ্ট, জেনে নিন