Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা নিয়ে আবার নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে, এবং সম্প্রতি একটি শুনানির পর কিছু বিষয় সামনে এসেছে যা নিয়ে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশেষত, বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ এবং রাজ্য সরকারের আর্থিক যুক্তি – এই দুই নিয়েই চলছে জোর আলোচনা। কিন্তু অর্ডার কপিতে কী বলা আছে? আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে ১০০০ টাকা ! কারা পাবেন, কীভাবে আবেদন করবেন ?
শুনানিতে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ও রাজ্য সরকারের সওয়াল
জানা গিয়েছে, ডিএ মামলার সাম্প্রতিক শুনানিতে মাননীয় বিচারপতিরা মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ ডিএ দেওয়া যেতেই পারে। এই পর্যবেক্ষণ সরকারি কর্মচারীদের মনে আশার আলো জাগালেও, এটি শুধুমাত্র একটি মৌখিক মন্তব্য ছিল এবং চূড়ান্ত রায় বা নির্দেশের অংশ নয়।
অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবীরা শুনানির সময় সরকারের আর্থিক সংকটের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁরা সওয়ালে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ ডিএ একসঙ্গে প্রদান করা রাজ্য সরকারের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। এই আর্থিক অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে তাঁরা আদালতের কাছে এই নির্দেশের বিরোধিতা করার আর্জি জানিয়েছেন।
অর্ডার কপির বাস্তবতা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যাই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিকতম যে অর্ডার কপিটি সামনে এসেছে (Petition(s) for Special Leave to Appeal (C) Nos.22628-22630/2022, THE STATE OF WEST BENGAL & ANR. VERSUS CONFEDERATION OF STATE GOVERNMENT EMPLOYEES, WEST BENGAL & ORS.), তাতে কিন্তু এই ৫০% ডিএ দেওয়ার কোনও সুস্পষ্ট উল্লেখ বা নির্দেশ নেই। ১৪ই মে, ২০২৫ তারিখের শুনানির পর বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ থেকে যে অর্ডার দেওয়া হয়েছে, তাতে মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে ধার্য করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ডিএ মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি এবং ৫০% ডিএ দেওয়ার বিষয়ে আদালত এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ দেয়নি। অর্ডার কপিতে মূলত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।