Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পাঁচ বছর আগে করোনার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল দুনিয়ার ৷ এই সময়ের মধ্যে করোনা বারবার এসেছে এবং দাপট দেখিয়েছে। সম্প্রতি আবারও বাড়ছে করোনা ৷
করোনার হাত ধরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। অতিমারির প্রকোপ বাড়তেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেক কিছু ৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় কোহদাড় রেলস্টেশনটি সেই তখন থেকেই বন্ধ।
করোনার সময় সারা দেশের মতো এখানেও বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল ৷ এখনও বন্ধই আছে ৷ এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও স্টেশন আর চালু করা যায়নি। স্থানীয়দের আক্ষেপ, স্টেশনটির কথা ভুলেই গিয়েছে রেল। তা না হলে লকডাউন ওঠার এত বছর পরও কেন বন্ধই পড়ে আছে স্টেশনটি, প্রশ্ন স্থানীয়দের ৷ তবে এমনটা যে কেন হয়েছে তা জানা নেই কারও ৷ আগে বেশকিছ প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন এই স্টেশনে থামত ৷ এখন সেগুলি এক্সপ্রেস ৷
বর্তমানে অবস্থা এমন হলেও অতীতের ছবি ছিল ঠিক উল্টো ৷ ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে কোহদাড় রেলস্টেশনের ৷ 1960-61 সালে স্থানীয় এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট হয়েছিল ৷ সে সময় বিভিন্ন ট্রেনে করে এই কোহদাড় স্টেশন থেকে অন্যত্র পানীয় জল পাঠাত রেল ।
স্থানীয়রা বলছেন, রেলওয়ে মনে হয় এই স্টেশনের কথা ভুলে গিয়েছে
- এলাকার এক বাসিন্দা রামনারায়ণ দাশোর বলেন, “কোহদাড় স্টেশনটি বহু পুরনো। স্টেশনের কাছে একটি নদীও রয়েছে। নদীর উপরে থাকা সেতু দিয়ে এখনও ট্রেন চলাচল করে। 1960-61 সালে আশপাশের এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না ৷ সেই জল সঙ্কটের সময় বিভিন্ন ট্রেন কোহদাড় স্টেশন হয়ে রেলওয়ের কাছে জল সরবরাহ করত ।”
- কোহদাড় স্টেশনের কাছেই থাকেন লতিফ খান ৷ তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের জীবিকা ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত । খান্ডোয়া শহরে সবজি বিক্রি এবং কেনাকাটার জন্য ট্রেনই ছিল একমাত্র মাধ্যম। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে মানুষের জীবিকাও এখন থমকে ৷”
- এলাকার বিজেপি সাংসদ জ্ঞানেশ্বর পাতিল বলেন, “কোহদাড়ের পাশাপাশি বুরহানপুর জেলার বাগমার এবং চাঁদনি স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টপেজ পুনরায় চালু করার দাবি উঠেছে। এই বিষয়ে সেন্ট্রাল রেলের জিএম রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন:- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেই চৈতন্য দেবকে খুন করা হয়েছিল? উঠে এল রোমহর্ষক তথ্য