Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সাইবার ক্রিমিনালদের দ্বারা প্রতারণার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। অনেকেই এই জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে ঠকে যান। এ রমক ঘটনা যদি ঘটে তাহলে কী করা উচিত? ঠকে গেলে কোন পথে লড়াই চালাবেন?
সাইবার জগতের ব্যাপ্তি এখন বিশাল। বলা ভালো, আমরা চাই বা না-চাই, এখন প্রত্যেককেই থাকছি সাইবার দুনিয়ায়। ফলে রাস্তাঘাটে হাঁটতে গেলে যেমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ঠিক তেমনই ভার্চুয়াল জগতে চলতে গেলেও অঘটন ঘটতে পারে, পড়তে হতে পারে ভার্চুয়াল অপরাধীদের খপ্পরে। সংক্ষেপে বলতে গেলে এটাই হলো সাইবার ক্রাইম। আমাদের দেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। তাই আমাদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে প্রতি পদক্ষেপে।
আরও পড়ুন:- পোস্ট অফিসের ধামাকা স্কিম! 2 লাখ রাখলে হাতে পাবেন 6 লাখ! বিস্তারিত জেনে নিন
অনেকেই জানতে চান প্রতারিত হওয়ার পরে অভিযোগ জানাতে কী করা প্রয়োজন? মাথায় রাখতে হবে, তথ্যপ্রমাণ সঙ্গে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কী কী তথ্যপ্রমাণ? সহজ উত্তর হলো, মোবাইলে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কোনও অপরাধ হয়ে থাকলে, অথবা অশ্লীল পোস্ট বা মেল এলে তার স্ক্রিনশট এবং সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ইউআরএল সংরক্ষণ করতেই হবে। অভিযোগপত্রের সঙ্গে সেটাও জমা দেওয়া প্রয়োজন।
একই ভাবে অনলাইনে টাকা-লেনদেনের জেরে প্রতারিত হয়ে থাকলে সেই লেনদেনের স্ক্রিনশট বা ব্যাঙ্কের পাসবুকের ছবিও রাখতে হবে সঙ্গে। ফেসবুকের বা অন্য সাইটের লগ ফাইলের ডেটাও অক্ষত থাকা দরকার। তবে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়। থানায় অভিযোগ জানানো ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যে কোনও ধারায় অপরাধ হয়ে থাকলে প্রতারিত ব্যক্তি সর্বাধিক পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের জন্য সাইবার অ্যাডজুডিকেটরের কাছে আবেদন করতে পারেন। পুলিশের কাছে অথবা নোডাল আধিকারিকের কাছেও যেতে পারেন।