অনলাইন অ্যাক্টে শিশুরা সেফ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শিশু কিংবা কিশোর কিশোরীদের এখন অনলাইনে নিরাপদ রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা সারাদিন অনলাইনে যে সব কনটেন্ট দেখতে থাকে, সেগুলির মধ্যে লুকিয়ে থাকে প্রচুর বিপদ। কখনও সেগুলি চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, কখনও সাইবার বুলিইং, কখনও সেগুলির মধ্যে লুকিয়ে থাকে মারণ গেমের হাতছানি।

এত কিছুর মধ্যে কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবে ছোট্টটি? সেটাই এখন সবচেয়ে প্রশ্ন।

এই রকমের এক প্রেক্ষাপটে ২৫ জুলাই চালু হতে চলেছে অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট। এই আইনের আওতায় থাকছে অনেক কিছু।

এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, মূলত কতগুলি বিষয় থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য। এর মধ্যে অন্যতম হলো মিসোজিনিস্ট যে কোনও বিষয়, অনলাইন বুলিইং, এবং গেমের অসম্ভব টাস্ক এবং প্রাণঘাতী চ্যালেঞ্জ থেকে শিশু ও কিশোরদের সুরক্ষিত রাখা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সবার আগে এই অ্যাক্ট রূপায়ণ করা হচ্ছে ব্রিটেনে। ধাপে ধাপে সেটা সারা বিশ্বেই চালু হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- মকড্রিল মানে কী? ঠিক কী করতে হবে সাইরেন বাজলেই? জানুন

এই আইন শক্তপোক্ত ভাবে চালু করার জন্য করা হচ্ছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। তার মধ্যে অন্যতম হলো, গেমের অ্যালগোরিদম চ্যালেঞ্জ করা। শিশুদের মনের ভাষা যে গেম বা অনলাইন প্যাটার্ন বুঝে নিচ্ছে, সেটাই গেমের মূল চালিকাশক্তি। এটাকে রোখা গেলে অনেক সমস্যা মিটবে।

এই আইনে জোর দেওয়া হয়েছে এর উপরেই। ব্যবহারকারীর ১৮ বছর বয়স হয়েছে কি না, সেটা জানতে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। কোনও সাইটে ঢোকার জন্য বয়সের যে ঘোষণা দিতে হয়, সে ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম আনা হচ্ছে।

যেমন, প্রথমটি হলো, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বয়স ১৮-র কম হলে সে যেন কোনও ভাবেই সাইটে ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

দ্বিতীয়টি হলো, ক্ষতিকর কোনও বিষয় সামনে এলে সেটা যাতে দ্রুত সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তিন নম্বরটাও একই রকম জরুরি। আসক্ত শিশু ও কিশোর কিশোরীদের আসক্তি কমাতে দ্রুত কী ভাবে সাহায্য করা যায়, সেই ব্যবস্থাও থাকছে। মানে সামগ্রিক ভাবেই বিষয়টি দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।

তবে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এত যে আইনের কথা বলা হচ্ছে, কোম্পানিগুলি সেগুলো মানবে কেন?

এর উত্তরও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, প্রতিটা সংস্থাকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রাখতে হবে। তিনি নজরদারি চালাবেন। এর পরেও কোনও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বিপুল পরিমাণে জরিমানা করা হবে। সেটির পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড বা সেই সংস্থার ১০ শতাংশ গ্লোবাল রেভিনিউ। সঙ্গে কোম্পানির বড়কর্তাদের জেলযাত্রা।

সাম্প্রতিক বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫৯ শতাংশ কিশোর ও কিশোরী আপত্তিকর কনটেন্ট দেখে, ইন্টারনেটে অনলাইনে। এগুলি তাদের মনে খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এই আইন এলে এই সমস্যা মিটে যাবে, এমনটাই আশা করছেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।

আরও পড়ুন:- পাক সেনার ওপর বড় হামলা, অফিসার সহ নিহত ৬ । জানুন বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন