Bangla News Dunia, Pallab : বোধদয় নাকি দলীয় চাপ? কোন শব্দ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাবে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুয়ায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) জন্য? রবিবার সন্ধ্যেতে পুলিশকে (Police) হুমকি, সোমবার সাত সকালে হুমকি প্রত্যাহার! তিনি তো অনুব্রত মণ্ডলকেও পেছনে ফেলে দিলেন। হুমায়ুনের এই বোধদয়ের নেপথ্যে সঠিক কারণ কী? উত্তর খুঁজছে ওয়াকিবহাল মহল। গতকাল বহরমপুরের এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, ‘লালগোলা, বড়ঞা, সামশেরগঞ্জ, ভরতপুর থানায় এমন কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে যাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি হয়। যদি বিরোধী আসনে থাকতাম ২৪ ঘণ্টা সময় লাগত না শায়েস্তা করতে।
আরও পড়ুন : গ্রীষ্মে দই ভীষণ উপকারী, তবে এইসব ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া উচিত নয়।
কিন্তু আমরা সরকারে রয়েছি। আমার হাতে পায়ে বেড়ি পরানো রয়েছে, তাই কিছু করতে পারছি না।’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছিল। যদিও সোমবার সকালে বদলে যায় হুমায়ুনের মতিগতি। এদিন সোজা ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। একাধিক থানার বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ নিয়ে দু’জনে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। জেলা পুলিশ সুপার তাঁকে আশ্বাস দেন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তাঁর আশ্বাস পেতেই সুর নরম করেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে (IC Litan Haldar) কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। গতকাল অনুব্রতর (Anubrata Mandol) মতো পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করতেই হুমায়ুনকে নিয়েও শুরু হয় তুমুল তর্জা। যদিও দলের তরফে কোনও পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু তার আগেই সুর নরম ভরতপুরের বিধায়কের। কোন ম্যাজিকে এমনটা হল তা বোঝার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক মহল।