Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল মারসুস’ শুরু করেছে। এই অপারেশনে শুক্রবার রাত থেকেই ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় সেনা সেই হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে পাকিস্তানকে কার্যত পিছু হটতে বাধ্য করছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা ‘অপারেশন বুনিয়ান আল মারসুস’
পাকিস্তান এই সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল মারসুস’। এই নামের অর্থ খুব শক্তপোক্ত দেওয়াল। ইংরেজিতে যা হল, ‘The Unbreakable Wall’। কোরানের একটি আয়াত থেকে এই নামটি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে পাকিস্তান তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। তারা বলতে চাইছে, এই অপারেশনে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অটল ও মজবুত। শনিবার ভোররাতে পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ফতে-১ মিসাইল ছুড়েছে। সঙ্গে ড্রোন হামলাও হয়েছে। পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যম রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, একাধিক ভারতীয় শহরে তারা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনা তাদের একের পর এক আক্রমণকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। ভারতও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:- পাকিস্তানের এই দুঃসময়ে হাত ছাড়ল ‘পরম বন্ধু’, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
ভারতীয় সেনা তা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করছে
পাক সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরি জানিয়েছেন, ‘ভারত আমাদের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছিল। তার জবাবে আমরা ভারতের পঞ্জাবের ছয়টি অঞ্চলে ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছি।’ তাঁর আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনা এখন ভারতকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পাকিস্তান আরও বলেছে, ভারতের যেসব ঘাঁটি থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ও মসজিদগুলিতে হামলা হয়েছে, সেগুলি তারা নিশানা করছে। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান যতই হামলা চালাক, ভারতীয় সেনা তা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে পাকিস্তান প্রায় ৩০টিরও বেশি এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় সেগুলো কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
এই কমিটি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়
এর মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশের জাতীয় কমান্ড অথরিটি (NCA)-র জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এই কমিটি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এই বৈঠককে ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সীমান্তের পরিস্থিতি যে দিন দিন আরও উত্তপ্ত হচ্ছে, তা স্পষ্ট। দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ভারত বারবার জানিয়েছে, সীমান্ত ও দেশের সুরক্ষা নিয়ে কোনো রকম আপস করা হবে না। সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিকে রক্ষার জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে শান্তির চেষ্টা চললেও বাস্তব ময়দানে যুদ্ধের উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শত্রু যতই চেষ্টা করুক, দেশের সুরক্ষা ও সম্মান অটুট রাখা হবে।