Bangla News Dunia, Pallab : বহু টালবাহানার পর শেষপর্যন্ত ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব দিল পাকিস্তানি সেনা (Pak Army)। বাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার হামলায় ১১ জন পাক সেনাকর্মী নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৭৮। নিহতদের ৬ জন বায়ুসেনা এবং বাকিরা সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছেন শরিফ। তালিকায় রয়েছে পাক বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফের নামও। এছাড়া ৪০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু এবং ১২১ জনের আহত হওয়ার খতিয়ানও পেশ করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ। এই পরিসংখ্যানগুলি শুধুমাত্র ৬-৭ মে’র সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : রাজ্যের নতুন পেনশন প্রকল্পে প্রতিমাসে পাবেন ১০০০ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
যদিও ভারত-পাক সাম্প্রতিক সংঘাত চলেছিল শনিবার অর্থাৎ চলতি মাসের ১০ তারিখ বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শেষের ৩ দিনের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মঙ্গলবারও নীরব পাকসেনা। ভারতের হামলাকে ‘বিনা প্ররোচনা’ এবং ‘নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করে পাকসেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ বলেন, ‘কোনও ধোঁয়াশা থাকা উচিত নয়। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টার কড়া জবাব দেওয়া হবে।’
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী অবশ্য আগেই অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে। ৫ জওয়ানের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সেনা। এছাড়া সীমান্তপার থেকে আসা পাকিস্তানি গোলার আঘাতে নিহত হয়েছেন ২২ জন সাধারণ ভারতীয়। সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানের তরফে বারবার ৪০-৫০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু দাবি করা হচ্ছিল। সেই তথ্য যে পাক অপপ্রচার তথা প্রোপাগান্ডার অংশ ছিল, সেই ব্যাপারে একমত পর্যবেক্ষকরা।
তাঁদের মতে, পহলগাম হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই হামলায় একশোরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে পাকিস্তানের তরফে জারি করা পরিসংখ্যান যোগ করলে তাদের ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।