অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য আয়কর ছাড়, নতুন নির্দেশিকা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

অবসর জীবনের আর্থিক পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারত সরকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানের জন্য আয়করে বিভিন্ন ধরনের ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে। সম্প্রতি আয়কর বিভাগ এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ), গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদীকরণ (লিভ এনক্যাশমেন্ট), এবং পেনশন কম্যুটেশনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আসুন, এই সুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন : আধার কার্ডের পর চালু হচ্ছে Digital ID Card. কী কী সুবিধা মিলবে? কিভাবে আবেদন ? জেনে নিন

মূল সুবিধাগুলি:

  • গ্র্যাচুইটি: সরকারি কর্মীদের জন্য প্রাপ্ত সম্পূর্ণ গ্র্যাচুইটির পরিমাণ করমুক্ত। অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রে, ‘পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট, ১৯৭২’-এর আওতায় নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি করমুক্ত থাকে।
  • পেনশন: মাসিক পেনশন ‘বেতন’ খাতের অধীনে করযোগ্য। তবে, পেনশন থেকে একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। পুরনো কর ব্যবস্থায় এটি ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত এবং নতুন কর ব্যবস্থায় অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫ এর জন্য ৫০,০০০ টাকা এবং অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬ থেকে এটি ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
  • পেনশন কম্যুটেশন (এককালীন পেনশন): সরকারি কর্মীরা পেনশনের একটি অংশ এককালীন তুলতে পারেন, যা সম্পূর্ণ করমুক্ত। অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রযোজ্য হয়।
  • ছুটি নগদীকরণ (লিভ এনক্যাশমেন্ট): সরকারি কর্মীরা অবসরের সময় অব্যবহৃত ছুটির পরিবর্তে যে অর্থ পান, তা সম্পূর্ণ করমুক্ত। বেসরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যায়। আয়কর বিভাগ সম্প্রতি বেসরকারি কর্মীদের জন্য এই সীমা বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ টাকা করেছে।
  • প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ): সাধারণত, অবসরের সময় পিএফ থেকে প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত থাকে, যদি কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করা হয়।
  • বেসিক ছাড়ের সীমা: পুরনো কর ব্যবস্থায়, প্রবীণ নাগরিকদের (৬০-৮০ বছর) জন্য বেসিক ছাড়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা এবং অতি প্রবীণ নাগরিকদের (৮০ বছরের বেশি) জন্য ৫ লক্ষ টাকা। নতুন কর ব্যবস্থায়, অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬ এর জন্য এই সীমা ৪ লক্ষ টাকা, এখানে বয়সের ভিত্তিতে অতিরিক্ত কোনও ছাড় নেই।
  • অ্যাডভান্স ট্যাক্স: ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় বাসিন্দা, যাদের ব্যবসা বা পেশা থেকে কোনও আয় নেই, তাদের অ্যাডভান্স ট্যাক্স দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
  • ফ্যামিলি পেনশন: পরিবারের সদস্যরা যে পেনশন পান, তা ‘অন্যান্য উৎস থেকে আয়’ হিসেবে করযোগ্য এবং এর উপর একটি নির্দিষ্ট ছাড় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত, মানলেন শরিফ

আরও পড়ুন : আগে নেওয়া ভ্যাকসিন কি নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর? জানুন

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন