Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদীদের মাথাদের ধ্বংস করার ঘোষণা করেছে। এদিকে, হতাশা দিন দিন বাড়ছে পাকিস্তানের। আবারও পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে উস্কানি এবং ধর্মান্ধতায় ভরা মন্তব্য এসেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দল পিপিপির সাংসদ পালওয়াশা মহম্মদ জাই খান অযোধ্যা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
পালওয়াশা দাবি করেন, বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের প্রথম ইট পাকিস্তানি সেনারা স্থাপন করবে। প্রথম আজান দেবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে ইতিমধ্যেই চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই বিবৃতি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
পালওয়াশা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) পঞ্জাব আসনের সংসদ সদস্য। সম্প্রতি, পালওয়াশার পিপিপির সভাপতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন।
‘আমরা চুড়ি পরি না’
পালওয়াশা খান বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা চুড়ি পরি না। সময় হলে উত্তর দেব। তাঁর বক্তব্য কেবল ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সংবেদনশীল ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য নয়, বরং এটি পাকিস্তানের স্পষ্ট উস্কানি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী পান্নুর প্রশংসা
পালওয়াশা মহম্মদ জাই খান তাঁর বক্তৃতায় ভারতের সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা খালিস্তানি সমর্থক গুরপতবন্ত সিং পান্নুর প্রশংসাও করেন। তিনি পান্নুকে ‘সাহসী কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁর পক্ষে কথা বলেন।
গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে ভারত সরকার UAPA (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) এর অধীনে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে। তাদের কার্যকলাপ ভারতের অখণ্ডতা এবং শান্তির জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়।
পাক নেতারা ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন
এই বিবৃতির বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে কূটনৈতিক মহলে এটিকে একটি গুরুতর উস্কানির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ও কৌশল বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে পাকিস্তানি নেতারা বারবার ভারতের ধর্মীয় ও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কথা বলে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন:- Paracetamol বেশি খেলেই লিভার-কিডনির মারাত্মক ক্ষতি, বিকল্প উপায় কী? জানুন
আরও পড়ুন:- ভারতেই এই দুই মিসাইলের সামনে পাকিস্তানের সব শক্তি ফিকে । বিস্তারিত জেনে নিন