অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অনলাইনে ঘরে বসে কিভাবে শুরু করবেন জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অন্য কোন কোম্পানির বা কারোর প্রচার করে কমিশন বা এককালীন টাকা পাওয়ার উপায়কেই Affiliate Marketing বলা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অনলাইন মাধ্যমে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন মার্কেটিং বিভিন্নভাবে করা যায়, তার মধ্যে একটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেকের কাছে এই মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণাটা স্বচ্ছ নয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা রোজগারের উপায়

আজকে এই মার্কেটিং সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের কাছে আজকে এই ব্যাপারে ধারণাটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর আজকে এই সম্পর্কে আমরা জেনে নিতে চলেছি সকল খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে। এবারে দেখে নিন সকল তথ্য একেবারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে প্রমোট করতে হবে এবং তার সাথে বিক্রি করতে হবে। আপনি এই প্রমোট ও বিক্রি করার জন্য পেয়ে যাবেন সেই কোম্পানি থেকে কমিশন। এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটিকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সাধারণ মার্কেটিং থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকটাই আলাদা। সাধারণ মার্কেটিং আপনি নিজের পণ্য কিনছেন এবং নিজেই পণ্য বিক্রি করছেন সেখান থেকে সব লাভ আপনি নিজের কাছে রাখছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?

বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই নিজস্ব কেরিয়ার হিসাবে এই মার্কেটিংকে নিয়েছেন যেখান থেকে অনেকেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। আপনি তিনটি পদ্ধতিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। এবারে কিছু কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে আপনারা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট :- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন পড়বে, যেই প্ল্যাটফর্ম ইউজ করে আপনি পণ্য বা সেবা প্রমোট করবেন। আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও প্রমোট করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্লগ ওয়েবসাইটকে প্রোডাক্ট মার্কেটিং হিসেবে বেশি প্রাধান্য দেয়। ব্লগিং এর মাধ্যমে বেশিভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানো অনেকটা সহজ হয়।

অ্যাফিলিয়েট ব্লগ গুলো সাধারণত ইনফো এবং মানি আর্টিকেল এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। কিছু আর্টিকেল নির্বাচিত প্রোডাক্ট সম্পর্কে বর্ণনা করে এবং কিছু আর্টিকেল প্রোডাক্ট ভালো মন্দ বর্ণনা করে। আপনাকে ভার্চুয়ালি একজন কাস্টমারের কাছে পণ্য সম্পর্কে বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিখুঁতভাবে সে পণ্যের ভালো মন্দ ও সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ করে কাস্টমারের মন জয় করতে হবে। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে এটাই আপনার প্রধান কাজ।

আরও পড়ুন:- হাইট অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত? তালিকাটা দেখে নিন…

YouTube Channel: ইউটিউব হলো জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া। এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখেন এবং লাখ লাখ মানুষ অন্য রকম ভিডিও আপলোড করেন। যেহেতু এখানে অনেক মানুষের অবস্থান রয়েছে তাই আপনি এই প্ল্যাটফর্মকে প্রোডাক্ট রিমোট করার সব থেকে উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে ধরে নিতে পারেন। আপনি যদি বিভিন্ন রকম পণ্য ভিডিওর মধ্যে দেখান এবং প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে আলাদা আলাদা ধারণা দেন, ভালো মন্দ বলেন তাহলে ক্রেতারা চোখের সামনের সেই পণ্য সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন এবং সেখান থেকে সেটি ক্রয় করার জন্য চিন্তা ভাবনা করবেন ও আপনার আয় হবে।

E-Mail Marketing: ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম। আপনি কাস্টম মেইল সার্ভার ইউজ করে অথবা ফ্রি মেইল সার্ভিস ইউজ করে মার্কেটিং করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অ্যাপ্রুভাল পেতে হবে। তারপর পটেনশিয়াল কাস্টমারদের ই-মেইল সংগ্রহ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট লিংক সহ মেইল টেম্পলেট তৈরি করে তা উক্ত মেইল অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।

Influencer Marketing: বর্তমানে ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে দেখতে পাওয়া যায়, যারা শর্ট ভিডিও বা রিলস তৈরি করে ভিউয়ারদেরকে ইনফ্লুএন্স করে। আপনি নিজে যদি এরকম ইনফ্লুএন্সার হন তাহলে শর্টস বা রিলস ভিডিও এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন। এতে সময় অনেক কম খরচ হবে এবং এই পদ্ধতিতে প্রমোট করলে আপনি মনিটাইজেশনের ইনকাম করার সুযোগ পাবেন, এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায়: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি বিভিন্ন কারণে করতে পারেন। এটি অনলাইনে ডলার ইনকাম করার জন্য অন্যতম সফল মাধ্যম। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে চাকরি ব্যবস্থার যে পরিমাণ বেহাল অবস্থা সেখানে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করার জন্য অনলাইন মার্কেটিং একটি উত্তম পন্থা। এছাড়াও আপনি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই কাজটি বেছে নিতে পারেন।

অভিজ্ঞতা অর্জন :- ধরুন আপনি ভবিষ্যতে একজন বিজনেস ম্যান হতে ইচ্ছুক। কোন রকম অভিজ্ঞতা ছাড়া একটা বড় কোন ব্যবসা শুরু করা কাজের কাজ নয়। এর কারণ হলো আপনি অনেক টাকার মূলধন দিয়ে জিনিস কিনে দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন, কিন্তু সেই ব্যবসা কোনভাবে দাঁড়ালো না, তাহলে আপনার সম্পূর্ণ মূলধন নষ্ট হয়ে যাবে।

এই জন্য প্রথমে বিজনেস শুরু করার আগে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটা অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, বিশেষ করে কোন কি বিজনেস যে পরিচালিত করতে হয় সেখানে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং সমস্যা এলে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়, এই সমস্ত ব্যাপার গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি কয়েক বছর মার্কেটিং করার পরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেও একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ইনকাম সোর্স:- প্রত্যেকটি মানুষ চায় নিজের ইনকামের পরিমাণ বাড়াতে। একজন চাকরিজীবী মানুষ হোক চিন্তা ভাবনা করেন পার্শ্ববর্তী কোন ইনকামের সোর্স থাকলে সেখান থেকেও বাড়তি উপার্জন করা যেত। এই রকম কোন ভাবনা থাকলে বা আপনার ইনকাম সোর্স বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন। বিশেষ করে মূলধন প্রয়োগ না করে ব্যবসা করার মধ্য দিয়ে ইনকাম করার একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো এই অ্যাফি লিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা

প্যাসিভ ইনকাম :- প্যাসিভ ইনকাম করার অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি এখানে কোম্পানি থেকে কোম্পানির পণ্য বা প্রোডাক্ট প্রমোট করে বা বিক্রি করে একটি কমিশন পাচ্ছেন, এছাড়াও ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন থেকে আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে আপনি দুই রকম ভাবে আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।

পণ্য তৈরির ঝুঁকি নেই :- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি যেহেতু অন্য কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করছেন সেহেতু কোন পণ্য তৈরির ঝামেলা নেই কিংবা কোন পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না। আপনার কোন রকম পণ্য উৎপাদন করার খরচ লাগবে না এছাড়া বিপণনও কোন খরচ লাগবে না।

ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়ন :- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটার এবং শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এর ফলে ভবিষ্যতে যদি আপনি নিজস্ব কোন ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার পরিচিতি যেহেতু বেড়ে যাবে তার জন্য ভবিষ্যতের আপনার নিজস্ব ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এটা একটা পজিটিভ পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন:- সুখবর ! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে স্টেট ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! শীঘ্রই আবেদন করুন

আরও পড়ুন:- সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে ব্রেকফাস্টে রাখুন এই খাদ্য তালিকা

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন