Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের কোনো নড়াচড়া নেই। রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তা কর্মীদের মনে হতাশা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, রাজপথের আন্দোলনই কি একমাত্র বিকল্প? এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জির সাম্প্রতিক এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, অধিকার কেউ দেয় না, অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কি আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করলেন?
আরও পড়ুন : যৌন অক্ষমতার সমস্যায় সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !
আইনি লড়াইয়ের বর্তমান অবস্থা
বিক্রম ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট কর্মীদের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে। রাজ্য সরকার বারবার রিভিউ পিটিশন বা অন্য কোনো আইনি অজুহাতে মামলাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে, যা স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের হতাশা বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে পেনশনভোগীদের জন্য এই দীর্ঘ অপেক্ষা অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
তবে, বিক্রমবাবু স্পষ্ট করেছেন যে আইনি লড়াইয়ের পথ ছাড়লে চলবে না। কারণ এই লড়াইয়ের মাধ্যমেই কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বদলি
ডিএ নিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ নতুন নয়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য সুদীপ চন্দ্কে কলকাতা থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ারে বদলি করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিক্রম ব্যানার্জির অভিযোগ, এই বদলির পিছনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হাত রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই ধরনের বেআইনি বদলির বিরুদ্ধে তারা সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর কথা ভাবছেন। প্রয়োজনে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT) সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নবান্ন অভিযানই কি ভবিষ্যৎ?
সাক্ষাৎকারে তিনি বারবার বলেছেন, “অধিকার কেউ দেয় না, অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়”। এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র আদালতের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।