Bangla News Dunia, দীনেশ : বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবনের সামনে লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পুলিশ। এবিষয়ে সুপ্রতীম সরকার (এডিজি দক্ষিণবঙ্গ) বলেন, ‘পুলিশ প্রথম থেকেই সংযত ছিল।’ তাঁর কথায়, বিকাশ ভবনে আটকে পড়েন পাঁচশোরও বেশি সরকারি কর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউ অন্তঃসত্ত্বা, আবার কেউ অসুস্থ। তাঁদের উদ্ধার করতে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে হয়। তৃণমূল নেতা তথা বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বিকাশ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। সব্যসাচীর গাড়ির সামনে অনেকে শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে ধাক্কা মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে সব্যসাচী নিজের কাজে বিকাশ ভবনে এসেছিলেন। তখন আন্দোলনকারীরা তাঁকে আটকান।
আরও পড়ুন : আপনার শত্রুকে উচিত শিক্ষা দিতে চান, তবে চাণক্যের এই ৪ উপায় অনুসরণ করুন
এডিজি দক্ষিণবঙ্গর ব্যাখ্যা, ১০ দিন ধরে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা (SSC Teachers Protest) পালা করে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা করেছে। তবে গতকাল পরিস্থিতি পালটে যায়। চাকরিহারাদের একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করেন। জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার চেষ্টা হয়।
আরও পড়ুন : কীভাবে হল ‘অপারেশন সিঁদুর’? বিস্তারিত জানাল কেন্দ্র
এডিজি দক্ষিণবঙ্গের কথায়, দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে আন্দোলনকারীদের বহু অনুনয় বিনয় করা হলেও তাঁরা পুলিশের কথায় কর্ণপাত করেননি। সমস্যা তৈরি হয় যখন বিকেলে বিকাশ ভবনের কর্মচারীরা বাড়ি যেতে চান। তাঁদের বের হতে দেননি আন্দোলনকারীরা বলে অভিযোগ। ভিতরে আটকে পড়া সরকারি কর্মীরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেখানে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও ছিলেন, তিনি রীতিমতো অসুস্থ হয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। এছাড়া আতঙ্কে এক কর্মী বাড়ি যাওয়ার জন্য ম্যাজাইন ফ্লোর থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে আহত হন। এরপরই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় পুলিশ (Police)। এডিজি দক্ষিণবঙ্গের সাফাই, পুলিশের বলপ্রয়োগ করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না। তা থাকলে সকালে গেট ভাঙার সময়ই করতে পারত পুলিশ। আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, এতগুলো মানুষকে আটকে রেখে যে আন্দোলন চলে তা কখনও গণতান্ত্রিক হতে পারে না।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে ১০০০ টাকা ! কারা পাবেন, কীভাবে আবেদন করবেন ?
রাজ্য পুলিশের সাংবাদিক বৈঠক প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের বক্তব্য, কোনও বলপ্রয়োগ হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে চাকরি গিয়েছে। ইচ্ছে করে কেউ এখানে আন্দোলন করছে না। ওরা প্রোটোকলের কথা বলছে। তবে যখন চাকরি স্বচ্ছভাবে দেওয়ার কথা ছিল তখন এই প্রোটোকল কোথায় ছিল? এদিকে বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও যাতে কোনও আধিকারিক বা কর্মী বিকাশ ভবনে আটকে না পড়েন, সেই কারণে বেলা ৩টের পর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।