Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলায় হাজার হাজার শিক্ষক রাস্তায় নেমে চাকরি হারিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ৷ চাকরি চেয়ে জুটেছে পুলিশের মার ৷ এমনই আবহে হিমাচল প্রদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশার কথাও প্রকাশ্যে এলো ৷ তবে ছবিটা খানিক উল্টো ৷ এখানে শিক্ষক আছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ৷ সংখ্যায় কম ছাত্ররাই ৷ গত আড়াই বছরে এই পাহাড়ি রাজ্যে প্রায় পাঁচশোটি স্কুলে কোনও নতুন পড়ুয়ার নাম নথিভুক্ত হয়নি ৷ আর তাই শিক্ষামন্ত্রী রোহিত ঠাকুর জানিয়ে দিলেন 1200টি স্কুল বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার ৷
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে 450টি স্কুলে নতুন কোনও পড়ুয়ার ভর্তি হয়নি ৷ আর বাকি স্কুলেও যে পরিমাণে ছাত্র ভর্তি হয়েছে তা খুবই নগণ্য ৷ তাই সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, 1200টি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ মন্ত্রীর কথায় “শিক্ষা দফতরকে মজবুত করতে রাজ্য সরকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কয়েকটি স্কুলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে ৷ বিবেচনা করা হচ্ছে সামগ্রিক পুনর্গঠন নিয়েও।” কত পরিমাণ ছাত্র ভর্তি হলে এই মার্জ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে তাও জানিয়েছেন মন্ত্রী ৷ কোনও একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত 25 জনের কম ছাত্র ভর্তি হলে মার্জারে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হবে ৷ সেই স্কুলটিকে তখন অন্য কোনও স্কুলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে ৷
ঠাকুর বলেন, “আগের বিজেপি সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। কিন্তু, বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রকে মজবুত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রি-প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে, 6200 জন নার্সারি টিচার নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত 200 জনেরও বেশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চাকরি নিয়মিত করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা বিভাগে 483 জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে। গত আড়াই বছরে বর্তমান সরকার 700 লেকচারার নিয়োগ করেছে। কিন্তু, আগের বিজেপি সরকারের সম্পূর্ণ 5 বছরের মেয়াদে মাত্র 511 জন লেকচারার নিয়োগ করা হয়েছিল।” এ বছর জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট ( Annual Status of Education Report) অনুসারে, সরকারি স্কুলে ছাত্রদের পড়ার দক্ষতার নিরিখে দেশের সেরা কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ।
আরও পড়ুন:- ‘হেরাফেরি’ 3 থেকে সরে দাঁড়ালেন ‘বাবুভাইয়া’ পরেশ রাওয়াল, কিন্তু কেন ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন