Bangla News Dunia, Pallab : আবারও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ উঠল। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮৮টি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল এবং ইনজেকশনের মতো জীবনদায়ী ওষুধও। এই ঘটনা ফের একবার দেশের ওষুধ নিয়ামক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল
আরও পড়ুন : জুলাই থেকে বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা ? প্রকাশ্যে আসলো আপডেট
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ সূত্রে খবর, গত মাসে বাজার থেকে এই ওষুধ গুলির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ স্বাস্থ্যকর্তাদের। কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া ওষুধের মধ্যে ২৭টিই গুণমানে ব্যর্থ হয়েছে। এই তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
রিপোর্টে কী কী উঠে এসেছে?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থা জানিয়েছে, গুণমানে ব্যর্থ হওয়া ওষুধগুলির মধ্যে মারাত্মক গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।
- বিপজ্জনক ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতি: বেশ কিছু ইঞ্জেকশনের ভায়ালে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা সরাসরি রক্তে মিশলে রোগীর প্রাণের ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারত।
- পরিশোধিত জলের অভাব: একাধিক ওষুধ তৈরিতে পরিশোধিত জল ব্যবহার করা হয়নি, যা ওষুধের কার্যকারিতা কমানোর পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে।
- নকল ব্র্যান্ডিং: সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, বেশ কিছু নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নাম নকল করে এই নিম্নমানের ওষুধগুলি তৈরি করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে আসল ও নকলের ফারাক করা কার্যত অসম্ভব।
আরও পড়ুন : নোবেল পেতে ‘গিরগিটি’র ভূমিকায় ট্রাম্প !
আরও পড়ুন : কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের চিকিৎসায় সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !