Bangla News Dunia, দীনেশ :- গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগাস্ট গদিচ্যুত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও পদত্যাগে রাজি ছিলেন না তিনি। বাংলাদেশের (Bangladesh) সামরিক ও পুলিশকর্তারা তাঁকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বারবার এমনটা বলায় রেগে গিয়ে মুজিবকন্যা বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে বরং গুলি করে মেরে ফেলো। তারপর গণভবনে কবর দিয়ে দাও।’ রবিবার ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)–এ শুনানি চলাকালীন বিচারকদের সামনে এমনটাই দাবি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:- বর্ষাকালে কলকাতার কোন ৮ এলাকা বিপজ্জনক? কি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা ? জানুন
সেদিনের বিবরণ দিতে গিয়ে চিফ প্রসিকিউটর জানান, ৪ অগাস্ট দফায় দফায় নিজের দল আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতৃত্ব, মন্ত্রীসভার সদস্য, পুলিশ এবং বাংলাদেশের স্থল, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা৷ সেই আলোচনা চলাকালীনও শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে অনড় ছিলেন৷ সেনাবাহিনীকে মেরুদণ্ড শক্ত করে গণবিক্ষোভ সামাল দেওয়ার পরামর্শ দেন৷ ওইদিন রাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে আঁচ করে হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দেন সেনাবাহিনীর প্রধান সহ সামরিক কর্তারা এবং পুলিশের তৎকালীন আইজি৷ কিন্তু তাতে উলটে রেগে যান হাসিনা। ক্ষমতা তিনি ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:- কেমন আছে পুরুলিয়ার এই ‘ভূতের’ স্টেশন ? পরিস্থিতি কি বদলেছে ? জানতে পড়ুন এই বিশেষ প্রতিবেদন
পরদিন সকালে ফের একবার গণভবনে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মুজিব কন্যা৷ চিফ প্রসিকিউটরের দাবি, হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীও। ইস্তফা দেওয়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রের্কড করে টিভিতে প্রচারের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্তু সেনা তা প্রকাশে সমস্যার কথা জানায়। হাসিনাকে গোছানোর জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। কারণ সেইসময় লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতার মিছিল এগিয়ে আসছিল গণভবনের দিকে। এরপরই হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন বলে জানান তাজুল ইসলাম। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন ৫ অগাস্ট বিকেল ৪ টায়।
আরও পড়ুন:- বর্ষাকালে কলকাতার কোন ৮ এলাকা বিপজ্জনক? কি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা ? জানুন