Bangla News Dunia, দীনেশ :- পুলিশ প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা সোলয়মান সেলিম। সরকারিভাবে ‘মৃত’ সেলিমের দাবি, জুলাই আন্দোলনে মৃতদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তাঁকে মৃত দেখিয়ে মামলাও শুরু হয়েছে। সেই মামলায় আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদউজ্জামান কামাল, শামিম ওসমান সহ আওয়ামি লিগের ৪১ জন নেতা-মন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, শেখ হাসিনার দলের দেড়শো কর্মী-সমর্থককেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- ক্যানসারের চিকিৎসায় বাঙালি বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার। আরও সহজ হবে চিকিৎসা ?
মজার কথা, সেলিম দিনের পর দিন বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও সরকারি কর্তারা তা মানতে নারাজ। আপাতত তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে সত্যি সত্যি খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সেলিম। স্থানীয় ফুলবাড়িয়া থানাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি। বৃদ্ধ জানান, ৩ অগাস্ট ঢাকার কাজলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে গুলি করে খুন করেছে বলে দাবি করে মামলা করেছে তাঁরই দুই ভাই। হাসিনার ওপর খুনের দায় চাপিয়ে তাঁকে খুন করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ভাইরা এই কৌশল নিয়েছিল বলে মনে করেন সেলিম।
আরও পড়ুন:- কলকাতার রেড রোডে ঈদের জমায়েত বন্ধ ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
বৃদ্ধের কথায়, ‘আমাকে মারার জন্য এই মামলা করেছে। এই সুযোগে আমাকে মারতে পারলে যাঁরা আসামি তাঁরা বিনা কারণে জেল খাটত।’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকশো মামলা দায়ের হয়েছে। এর অনেকগুলি খুন সংক্রান্ত। এইসব মামলার কতগুলি ঠিক তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে মামলার বড় অংশই যে ভুয়ো, সেলিমের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁদের মতে, আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় তৈরি হলেও প্রায় কোনও ক্ষেত্রেই তদন্তকারী সংস্থাগুলির তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়নি। প্রাক্তন শাসকদলকে বিপাকে ফেলতেই যে এইসব মামলা করা হয়েছে, ঘটনাপ্রবাহ থেকে সেটা বোঝা যাচ্ছে।