ইজরায়েলে ব্যাপক মিসাইল হামলা, আমেরিকাতেও হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দোনামোনা করেও সেই ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে এন্ট্রি নিয়ে নিল আমেরিকা। ইরানের অন্তত ৩টি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট  জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনা বাহিনী ইরানে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে সফল ভাবে বোমাবর্ষণ করেছে। এরপরই ইরানকে দু’রকম অপশন দিয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, হয় শান্তিস্থাপন, নয়ত চরম পরিণতি। চুপ করে বসে থাকেনি ইরানও। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে তেহরান জানিয়েছে, এবার প্রত্যেক আমেরিকান তাদের নিশানায়। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এই হামলাকে ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এক নজরে দেখে নিন Live Updates

> ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনই বাঙ্কারে রয়েছে বলে খবর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোনও ভাবেই যাতে তার কাছে পৌঁছনো না যায়, তার জন্য যোগাযোগের মাধ্যমে কেটে দিয়েছেন তিনি।

> মার্কিন বোমাবর্ষণে কারও প্রাণহানি হয়নি। নিউক্লিয়ার কেন্দ্র থেকেও কোনও রেডিয়েশন লিক হয়নি। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে ইরান।

> আমেরিকা ইরানে হামলা চালানোর পর থেকেই মধ্য প্রাচ্যের জলপথে বাড়তি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:- পড়ুয়াদের পাশাপাশি এবার থেকে পথ কুকুরদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা, উদ্যোগ শিক্ষা মিশনের

> পশ্চিম ইজরায়েলের একাধিক শহরে মিসাইল বর্ষণ চালাচ্ছে ইরান। হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রোখার কথাও জানিয়েছে ইজরায়েল সেনা।

> ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন এয়ারপোর্টে মিসাইল হামলা। দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ১১।

> ইরানে প্রথমবার GBU-57 ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ বোমা ব্যবহার আমেরিকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এই হামলায় ৫ থেকে ৬টি GBU-57 বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মার্কিন সমরাস্ত্র ভাণ্ডারের সবচেয়ে বড় নন-নিউক্লিয়ার বোমা। মাটির নীচে থাকা লক্ষ্যবস্তু অথবা শক্ত বাঙ্কার ধ্বংসে ব্যবহার করা হয় এটি।

> মধ্য ইজরায়েল এবং জেরুজালেমে বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গিয়েছে। আতঙ্কে বাসিন্দারা।

> এদিকে, ইজরায়েলের উপর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করেছে ইরান। তেল আভিভে শোনা গিয়েছে সাইরেনের শব্দ। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

> ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার পর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমেরিকার বড় শহর যেমন ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্কে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।

> আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দেশের সেনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দেশের জন্য এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এমন অভিযান আগে চালাতে পারেনি।’ তারপরই লেখেন, ‘এখন শান্তির সময় এসেছে।’ ট্রাম্পের দাবি, ‘অপারেশন’-এর পরে সমস্ত মার্কিন বিমান আপাতত ইরানের আকাশ সীমার বাইরে আছে।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপের জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর বাহিনীরও মূল টার্গেট ছিল ইরানের এই পরমাণু কেন্দ্রগুলি। ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছিলেন, ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের গভীরে পৌঁছে আঘাত করার মতো দম নেই তাদের। তবে কি নিজেই সেই দম দেখিয়ে দিলেন। ট্রুথ সোশ্যালে শান্তির বার্তা দিলেও আমেরিকার এই যুদ্ধে এন্ট্রি নেওয়া কি তবে পুরোদস্তুর যুদ্ধের ডঙ্কা বাজিয়ে দেওয়া হল? কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত আন্তর্জাতিক মহল। এদিকে, ইরান হুমকি দিয়েছে, এই হামলার শেষ দেখে ছাড়বে তারা। এবার থেকে প্রত্যেক আমেরিকান এবং সে দেশের সেনা তাদের নিশানায়।

উল্লেখ্য, ইরানকে আমেরিকা দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। ট্রাম্পের বার্তা ছিল, হয় কূটনৈতিক আলোচনা করে সমাধান নয়তো আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত শনিবারেও ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে সেই ডেডলাইন পেরনোর আগেই ইরানে আঘাত হানল তার দেশ। মধ্য প্রাচ্যের এই যুদ্ধে আমেরিকার জুড়ে যাওয়া কি তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে আরও এক ধাপ এগনো?

আরও পড়ুন:- ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত ৫০% বেশি রিটার্ন দিয়েছে এই ৯ স্মল ক্যাপ স্টক।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন