পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে কিউআর কোড (QR Code) যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল বইয়ের জালিয়াতি রোধ করা এবং ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পঠন-পাঠন সামগ্রী সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন : কালীগঞ্জের ফল প্রত্যাশিতই ছিল, হিন্দু ভোট একজোট হয়েছে ! দাবি শুভেন্দুর
কেন এই উদ্যোগ?
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার পর কলেজ স্ট্রিট এবং অন্যান্য জায়গায় সরকারি বই বেআইনিভাবে বিক্রি হয়। অনেক সময় বইয়ের বিষয়বস্তু সামান্য পরিবর্তন করে চড়া দামে বিক্রি করা হয়, যা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবং বইয়ের সত্যতা যাচাই করার জন্য এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করা হয়েছে।
কিভাবে কাজ করবে এই কিউআর কোড?
- সত্যতা যাচাই: প্রতিটি বইয়ের পিছনে একটি বিশেষ কিউআর কোড থাকবে। এই কোডটি স্ক্যান করলে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের লোগো এবং বইটির সমস্ত তথ্য দেখা যাবে। যদি কোনো বইয়ের পিছনে এই কিউআর কোড না থাকে বা স্ক্যান করলে সঠিক তথ্য না পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে বইটি নকল।
- অতিরিক্ত ডিজিটাল কন্টেন্ট: কিউআর কোড স্ক্যান করে ছাত্রছাত্রীরা কেবল বইয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারবে তাই নয়, এর মাধ্যমে তারা অতিরিক্ত শিক্ষামূলক সামগ্রীও পাবে। এর মধ্যে থাকতে পারে:
- ভিডিও লেকচার: বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধান।
- অ্যানিমেশন: কঠিন বিষয়গুলিকে সহজ করে তোলার জন্য অ্যানিমেটেড ভিডিও।
- মডেল প্রশ্নাবলী: পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্ন এবং তার উত্তর।
এই ডিজিটাল কন্টেন্ট ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : জুলাই থেকে বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা ? প্রকাশ্যে আসলো আপডেট