Bangla News Dunia, দীনেশ :- ফের ভারতে হতে চলেছে জনগণনা (Census)। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই জনগণনা হবে বলেই খবর। হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই জনগণনার দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে কয়েকটি রাজ্যে এক বছর আগে থেকেই এই কাজের তোরজোড় শুরু হবে। ২০২৬ সালের অক্টোবর মাস থেকেই কাজ শুরু করবে কয়েকটি রাজ্য। কিন্তু কেন? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাটির সৃষ্টি প্রকল্প, উপকৃত হবেন কোটি কোটি কৃষক।
কবে শুরু হচ্ছে জনগণনা?
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যেমনটা জানানো হয়েছে, ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে জনসংখ্যা ও জাতিভিত্তিক জনগণনার কাজ শুরু করা হবে। যদিও এই কাজের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। তবে ভারতের চারটি বিশেষ রাজ্য জন্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখে আগে থেকেই তোরজোড় শুরু হবে, তাও ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে।
আরও পড়ুন:- প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার বাংলার 16 শিশু শ্রমিককে রাজকোট থেকে উদ্ধার।
কেন আগে থেকেই রাজ্যগুলোতে তোরজোড় শুরু হচ্ছে?
আসলে উত্তর ভারতের এই রাজ্যগুলির প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক বাঁধা এবং শীতকালের আবহাওয়ার জেরে সমস্যার মুখোমুখি পড়তে পারেন সরকারি আধিকারিকরা। তাই এই রাজ্যগুলিতে গ্রীষ্মকালে জনগণনার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
২০১১ সালের শেষবার জনগণনাতেও এই রাজ্যগুলিতে সেপ্টেম্বর মাসে কাজ হয়েছিল এবং রেফারেন্স টাইম ছিল ১ অক্টোবর ২০১০-এর মধ্যরাত। আর সেই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এবারও আগেভাগে কাজ শুরু করা হবে।
এবারের গণনায় বিশেষ কী থাকছে?
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, এবারের জনগণনা অতীতের সব কিছুকেই ছাপিয়ে যাবে। কারণ এবার প্রথমবার জাতিভিত্তিক গণনা শুরু হচ্ছে। হ্যাঁ, এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র ধর্ম, শ্রেণী ও জাতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হতো। আর এবার সরাসরি জাতির ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন:- ছেলের সঙ্গে ‘সেক্স র্যাকেট’-পর্ন ভিডিও শ্যুটিং? পানিহাটি কাণ্ডে উঠে এল চমকে দেওয়ার মত তথ্য
সবই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
তবে এবারের জনগণনার সবথেকে চমক দেওয়ার বিষয় হল, এবারে কাজ হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এর জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপ। এমনকি জনগণনার নিয়োজিত কর্মচারীরা মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহার করে সরাসরি সরকারি পোর্টালে তথ্য আপলোড করতে পারবে।