২০১০ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি মামলা, যা এক দশক পর আদালতে উঠেছিল, তা আবার নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠতে চলেছে। বলরাম মাইতি নামে এক আবেদনকারীর দায়ের করা এই মামলাটি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই মামলাটি খারিজ করে দিলেও মামলাকারী আবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল।
মামলার প্রেক্ষাপট ও আবেদনকারীর অভিযোগ
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১০ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর। আবেদনকারী বলরাম মাইতি তথ্য জানার অধিকার আইনের (RTI) মাধ্যমে তার বর্ণনামূলক পরীক্ষার উত্তরপত্র হাতে পান, যেখানে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য দুই নম্বর ধার্য ছিল। তার অভিযোগ, ভালো উত্তর লেখা সত্ত্বেও তার নম্বর অন্যায়ভাবে কেটে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, এসএসসি-র কাছে অন্য পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখতে চাইলেও তা তাকে দেওয়া হয়নি। মাইতির দাবি, পরীক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে তার নম্বর কমিয়ে দিয়েছেন, যার ফলে তিনি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি তার উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন এবং চাকরির দাবি তুলেছেন।
একক বেঞ্চের রায়
এর আগে মামলাটি বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চে উঠলে, তা খারিজ হয়ে যায়। একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, মামলাটি দায়ের করতে অনেক দেরি হয়েছে। ২০১১ সালে পরীক্ষা হয়, ২০১২ সালে প্যানেল তৈরি হয় এবং তার এক বছর পর প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আবেদনকারী প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দশক পরে মামলা দায়ের করেন, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চের দিকে নজর
একক বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে, আবেদনকারী ডিভিশন বেঞ্চে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ৭ই জুলাই এই মামলাটি (MAT নম্বর 1005 of 2025) দায়ের করা হয় এবং এর প্রথম শুনানি ২৩শে জুলাই, ২০২৫-এ ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। বলরাম মাইতি নিজেই এই মামলায় সওয়াল করছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এই মামলায় প্রতিপক্ষ।
আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?