অবশেষে প্রকাশিত হল জনগণনার বিজ্ঞপ্তি এবং সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল দেশের জনসংখ্যা গণনার প্রক্রিয়া। এবারের জনগণনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে, যা দুটি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হবে – হাউজ লিস্টিং এবং পপুলেশন ইনিউমারেশন। এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, সাধারণ নাগরিকরাও এখন থেকে সরকারি গণনাকারীর জন্য অপেক্ষা না করে, বাড়িতে বসেই সরাসরি সেন্সাস-তথ্য আপলোড করতে পারবেন। এর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (RGI) একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল বা অ্যাপ চালু করবে।
আরও পড়ুন : ফের ধূসর তালিকায় ঠাঁই হবে পাকিস্তানের! পহেলগাঁও নিয়ে কড়া বিবৃতি দিল এফএটিএফ
নতুন ডিজিটাল প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী, এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নাম এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য সহজেই নথিভুক্ত করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে বা কেউ ঠিকানা পরিবর্তন করলে, সেই তথ্যও তালিকা থেকে সহজেই বাদ দেওয়া যাবে। এই স্ব-আপলোড প্রক্রিয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
- সহজ এবং সুবিধাজনক: সরকারি কর্মীর জন্য অপেক্ষা না করে নিজের সুবিধামতো সময়ে তথ্য আপলোড করা যাবে।
- তথ্য যাচাই: নাগরিকরা তথ্য আপলোড করার পর, সরকারি আধিকারিকরা সেই তথ্য যাচাই করে নেবেন যাতে কোনো ভুল না থাকে।
- সময় সাশ্রয়: সরকারের মতে, এই নতুন পদ্ধতির ফলে জনগণনার মতো একটি বিশাল কর্মকাণ্ডের সময় বাঁচবে। প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকর্মী এবং ১ লক্ষ ৩০ হাজার আধিকারিক এই কাজে যুক্ত থাকলেও, সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করে তুলবে।
রেফারেন্স তারিখ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ মার্চ তারিখটিকে জনগণনার ‘রেফারেন্স’ তারিখ হিসেবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ, ওই তারিখে ভারতের জনসংখ্যা কত, সেটাই গণনা করা হবে। তবে দেশের চারটি রাজ্য/ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল – লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের তুষারাবৃত অঞ্চলের জন্য রেফারেন্স তারিখটি ভিন্ন। এই চারটি অঞ্চলের জন্য জনগণনার রেফারেন্স তারিখ হিসেবে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবরকে নির্ধারণ করা হয়েছে।