পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের নাগরিকদের জাল ও নকল ওষুধের বিপদ থেকে রক্ষা করতে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ওষুধ কেনার সময় গ্রাহকদের আরও সচেতন এবং সতর্ক করে তোলা।
আরও পড়ুন : UPI-তে টাকা লেনদেনের নিয়মে বড় বদল। নিয়ম না মানলে জরিমানা
নির্দেশিকার প্রধান বিষয় গুলি:
- বৈধ লাইসেন্স যাচাই: ওষুধ কেনার আগে দোকানে ওষুধ বিক্রির লাইসেন্সের কপি আছে কিনা, তা দেখে নেওয়া আবশ্যক। এটি নিশ্চিত করবে যে দোকানটি সরকারিভাবে স্বীকৃত।
- পাকা রসিদ সংগ্রহ: প্রতিবার ওষুধ কেনার সময় পাকা রসিদ (ক্যাশ মেমো) চেয়ে নিন। এই রসিদে ওষুধের নাম, ব্যাচ নম্বর এবং মেয়াদ শেষের তারিখ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা জরুরি। এই তথ্যগুলি পরবর্তীকালে কোনো রকম সমস্যা হলে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
- কিউআর কোড স্ক্যান: প্রায় ৩০০টি ওষুধের একটি তালিকা www.wbhealth.gov.in/DrugAlerts ওয়েবসাইটে উপলব্ধ করা হয়েছে, যেগুলিতে কিউআর কোড দেওয়া আছে। এই কিউআর কোড স্ক্যান করে আপনি সহজেই ওষুধের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। এর মাধ্যমে জাল ওষুধ শনাক্ত করা অনেক সহজ হবে।
- অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া: যদি কোনো ওষুধ নিয়ে সন্দেহ হয় বা সেটি জাল বলে মনে হয়, তাহলে অবিলম্বে অভিযোগ জানান। ওষুধের ছবি এবং ক্যাশ মেমোর কপি সহ [email protected] – এই ইমেল আইডিতে অথবা 7908077615 নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে।
রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল অধিদপ্তর এই নির্দেশিকা বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে পাঠিয়েছে। এই অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের প্রায় ৪৫,০০০ পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রেতাদের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন : এই ভুল করলেই বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা, চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম