Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০২৫ সালের মে মাসে ফের কোভিড-১৯ এর প্রকোপে কাঁপছে এশিয়ার একাধিক দেশ। হংকং, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
হংকংয়ে ১০ সপ্তাহে সংক্রমণ ৩০ গুণ বেড়েছে
উদ্বেগের বিষয় হল হংকংয়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের ১০ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১,০৪২-তে, যেখানে মার্চের শুরুতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে মাত্র ৩৩ জন আক্রান্ত হতেন।
শুধু সংখ্যাতেই নয়, বাড়ছে পজিটিভিটির হারও। ১ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে যেখানে পজিটিভিটির হার ছিল ০.৩১%, তা ১০ মে’র মধ্যে বেড়ে হয়েছে ১৩.৬৬%। এই পরিস্থিতিতে হংকং সরকার জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:- প্রায় বারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করছে এনটিপিসি, বেতন ৩৫,৪০০ টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন
বিশেষত যাঁরা বয়স্ক, দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন অথবা যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য নতুন করে একটি অতিরিক্ত টিকার ডোজ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সিঙ্গাপুরেও সংক্রমণ ৩০% বৃদ্ধি
হংকংয়ের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেও কোভিড কেস উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২৭ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১,১০০, তা ৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ১৪,২০০— অর্থাৎ ৩০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি।
এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে— প্রতিদিন গড়ে ১৩৩ জন। সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী LF.7 এবং NB.1.8 নামক ভ্যারিয়েন্টগুলি, যা JN.1-এর পরবর্তী প্রজন্ম। যদিও বর্তমান টিকা JN.1-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, তবু সময়ের সঙ্গে তার কার্যকারিতা কমে যাওয়াও এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
থাইল্যান্ডেও ছড়াচ্ছে করোনা
কোভিড থেকে নিস্তার নেই থাইল্যান্ডেও। ছুটির মরসুমের পর হঠাৎ করেই সেখানে সংক্রমণের হার বেড়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটিতে ইতিমধ্যে ৭১,০৬৭ জন আক্রান্ত ও ১৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
বিশ্ব যখন প্রায় কোভিড-পরবর্তী যুগে পা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছিল, তখন আবারও করোনার ছায়া নেমেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী টিকার অতিরিক্ত ডোজ নেওয়া—এই তিনটি দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে, না হলে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:- ভারতের কঠোর পদক্ষেপে বাংলাদেশের ক্ষতি ৯৩৬৭ কোটি টাকা, বিস্তারিত জেনে নিন