Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব ঘোষণা মতোই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার উদ্যোগ। এই কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হলো টাকা।
এদিন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার জন্য বাজেটে ২০০ কোটি টাকার ফান্ডের কথা ঘোষণা করলেন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকেও এই নিয়ে বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে আমরা যেমন একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দিই। তেমনই এ বার স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে আইসিডিএস এবং আশা কর্মীদের। তালিকায় আছেন ৭০ হাজার আশা কর্মী এবং এক লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।’
প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউটের মাঠের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আশা কর্মীদের মতো এ বার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে।
আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিভিন্ন কাজের নথি আপডেট যেমন, শিশুদের পুষ্টি, মায়েদের স্বাস্থ্য, প্রসূতিদের তথ্য, স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজের জন্য প্রয়োজন পড়ে ইন্টারনেটের। তথ্য দিতে হয়, সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া অ্যাপে। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। স্বল্প টাকা বেতনে অনেকেরই ভালো অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার ক্ষমতা নেই।
বাজেটে বরাদ্দ ঘোষণার পর আশা কর্মী মিতা সাহা, পিয়ালী দাস, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুমিত্রা সরকাররা বলেন, ‘অনেক সমযয়ে কাজ করতে গিয়ে ফোন হ্যাং করে যায় । অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় না । সরকারি মোবাইল পেলে আমাদের কাজের খুব সুবিধা হয়। বাড়িতে আমাদের একটাই ফোন। বাচ্চারা অনলাইনে পড়াশোনা করে। তখন আমরা ফোন নিয়ে বেরোতে পারি না। এ বার সেই সমস্যাও দূর হবে।’ তাই সরকারি এই ঘোষণায় খুশি অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা।
আরও পড়ুন:- কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ চলছে! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে, বিস্তারিত দেখে নিন
আরও পড়ুন:- সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রীতি শুরু হয়েছিল কীভাবে, সে এক অন্য কাহিনি