কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে বেনজির অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ওবিসি সংরক্ষণ বিতর্কের কারণে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। রাজ্যের সেন্ট্রাল পোর্টাল এখনও খোলেনি, ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘অপারেশন সিঁদুর’এর সাফল্য এবার পৌঁছোবে বিশ্বের দরবারে !
মূল ঘটনাক্রম:
- উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসসি এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরেও রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরের ভর্তি শুরু করা যায়নি।
- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দুটি বিভাগে স্নাতক স্তরে ভর্তি স্থগিত রেখেছে এবং আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬৯টি কলেজেও ভর্তি প্রক্রিয়া থমকে আছে। কর্তৃপক্ষ আইনি পরামর্শের অপেক্ষায়।
- এই সমস্যা শুধু কলকাতা, যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি নয়, রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের। রবীন্দ্রভারতী থেকে শুরু করে জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও একই পরিস্থিতি।
- মূল কারণ হিসেবে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
- কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে স্পষ্ট নির্দেশনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে, কিন্তু এখনও কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ।
- সরকারি সূত্রে খবর, অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে এবং তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উদ্বেগ ও আশঙ্কা:
- ভর্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় ভালো ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যের বাইরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
- এই পরিস্থিতি “ব্রেন ড্রেন” বা মেধা পাচারের ঝুঁকি তৈরি করছে।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না এবং এই অচলাবস্থার দায় সরকারের।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, ওবিসি তালিকা আইনানুগ না হওয়ায় হাইকোর্ট তা বাতিল করেছে। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও যদি স্থগিতাদেশ না থাকে, তাহলে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
- তাঁদের আশঙ্কা, পোর্টাল খুলতে দেরি হলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্র পাবে না, কারণ গত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভালো ছাত্রছাত্রীরা বেসরকারি বা রাজ্যের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছে।