Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শেষ হয়েছে পুজোর মরশুম। বাতাসে হিমেল পরশ। চোখ রাঙাচ্ছে বায়ুদূষণ। দূষিত বায়ুর নিরিখে প্রথম সারিতেই রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব। অন্য দিকে আমাদের রাজ্য তথা কলকাতার বায়ুর অবস্থাও কিন্তু খুব আশাব্যাঞ্জক নয়। দূষণের এই চিত্র দেখেই শঙ্কায় ভুগছেন চিকিৎসকরা। বায়ুদূষণের ফাঁসে পড়ে কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
করোনা ও শরীরে দীর্ঘকালীন সমস্য ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার হওয়া মানুষের শরীরে রোগ থেকে সেরে ওঠার পরও সমস্যা থাকছে। বহু মানুষের ফুসফুসে হয়ে যাচ্ছে মারাত্মক ক্ষতি। ফুসফুসের এই সমস্যা সেরে উঠতে মাসের পর মাস লেগে যাচ্ছে। শরীরের নানান অঙ্গের উপরও করোনা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে। সেরে ওঠার দীর্ঘদিন পরেও দুবর্লতা কাটছে না। এছাড়াও ব্যক্তিভেদে অদ্ভুত সব সমস্যা হচ্ছে।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সহজে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিছু মানুষের ভাগ্য এতটাও ভালো নয়। তাঁরা করোনার জটিলতম সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। করোনায় যাঁদের ফুসফুস ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁরা বেশিরভাগ মানুষই শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন। তাই বাতাসে ধুলোবালি, ময়লা, ধোঁয়ার পরিমাণ বাড়লে এই মানুষ গুলির শ্বাস নেওয়ার সমস্যা আরও বাড়বে।
খারাপ বাতাস ফুসফুসের সেরে ওঠার দীর্ঘায়িত করতে পারে। বেশিরভাগ সময় করোনা সংক্রমনে ফুসফুসে ক্ষতি আবার চিকিৎসার মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এমন বায়ুদূষণের মধ্য়ে ফুসফুসের সেরে ওঠা আর সম্ভব হবে না বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক পরা হল প্রধান অস্ত্র। মাস্ক পরলে বাতাসের ধুলোবালি সহজে নাকে ঢুকতে পারবে না। নিয়মিত হাত ধুয়ে নিন, স্নান করুন। শীত থেকে বাঁচতে গরম পোশাক পরুন। অবশ্যই নিজের ওষুধ চালিয়ে যান। ইনহেলার ব্যবহার করেন তাঁরা তা সবসময় সঙ্গে রাখুন। সমস্যা বুঝতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবেই আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল